করোনা রুখতে ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা রুখতে ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউনে মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

4b29d29419a78912cc3ba41be55af2a1

বেঙ্গালুরু: করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র অস্ত্র লকডাউন। তাই দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা ১৪ এপ্রিলের পর লকডাউনের সময়সীমা আরও দু-এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। সোমবার এমনই প্রস্তাব দিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এবিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্দ্বিধায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হোক। আমেরিকা,স্পেন এবং ইতালি মে পরিস্থিতির সম্মুখীন সেই পরিস্থিতি এড়াতে একমাত্র হাতিয়ার লকডাউন।

যদিও তিনি বলেছেন,  “লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তবে কঠোর পরিশ্রম করে  আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ত্যাগ স্বীকার করে একে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আমরা অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারি তবে মৃতদের নয়। মানুষের জীবন অনেক বেশি মূল্যবান।” কেসিআর আরও বলেন, ইতিমধ্যেই লকডাউনের মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতিকে অনেকটাই স্থিতিশীল করা গেছে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে লকডাউন বাড়ানো না হলে এই তিন মাসের লকডাউন অর্থহীন হয়ে যাবে।

এপ্রসঙ্গে বোস্টন কনসালটেন্সি গ্রুপ(বিসিজি)এর একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে আগামী ৩জুন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে যাবে। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া হলে সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সবাই একসঙ্গে বাইরে বরিয়ে পড়বে। সেখানে কাউকে বাধা দিয়ে বা কাউকে ছাড় দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না৷ তাই কেন্দ্র এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও তেলেঙ্গানায় লকডাউনের মেয়াদ ৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। সহমত পোষণ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকারও। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এনিয়ে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে লকডাউনের মধ্যেও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে৷ আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের কাছাকাছি৷ মৃত্যুর সংখ্যাও ১০০ ছাড়িয়েছে গিয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ১৪ এপ্রিলের পরেও দেশে লকডাউন জারি রাখার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র৷ বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *