পিথোরাগড়: ভারতের প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে গত জুন মাসে নিজেদের ‘নতুন মানচিত্র’ প্রকাশ করে নেপাল৷ ওই মানচিত্রে ভারতের পিথোরাগড়ের লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানিকে নিজেদের বলে দাবি জানায় কাঠমাণ্ডু৷ এর পর থেকেই শুরু হয় দিল্লি ও কাঠমান্ডুর সম্পর্কের টানাপড়েনে৷ সেই বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়ে এবার জনগণনার পরিকল্পনা করল কে পি শর্মা ওলির দেশ৷
আরও পড়ুন- সাপ্তাহিক লকডাউন কতটা জরুরি? মূল্যায়ন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতি দশ বছর অন্তর নেপালে জনগণনা কর হয়৷ পরবর্তী জনগণনা হওয়ার কথা আগামী বছর মার্চ মাসে৷ নতুন মানচিত্রে লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করার পর এই তিন অঞ্চলে এবার জনগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাঠমাণ্ডু৷ দিল্লির দাবি, ভারতের প্রায় ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে নতুন মানচিত্রে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল।
সে দেশে জনগণনার কাজ করে থাকে নেপালের ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্স। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে তারা৷ জানা গিয়েছে, লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরায় জনগণনা করার সময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে কী কী প্রশ্ন করা হবে তাও নাকি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশ্ন করা সম্ভব না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে কী ভাবে জনগণনা করা যায়, সেই চিন্তাভাবনাও শুরু করে দিয়েছে নেপাল সরকার৷
আরও পড়ুন- পরপর ৩টি বিস্ফোরণ! ঝলসে গেল ওএনজিসির প্ল্যান্ট
তবে নেপাল সরকারের জনগণনার অংশ নিতে নারাজ লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরা গ্রামের মানুষ৷ তাঁদেক কথায়, নেপালের জনগণনায় অংশ নেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না৷ বুধি গ্রামের বাসিন্দা মহেন্দ্র বুধিয়াল বলেন, ‘‘আমরা ভারতের নাগরিক৷ নেপাল সরকারের জনগণনায় কেন অংশ নিতে যাব আমরা?’’ অন্যদিকে, পিথোরাগড় জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নেপাল সরকারের এ হেন পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই৷ এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এমন কোনও পরিকল্পনা থেকে থাকলেও, নেপালি দলকে কোনও ভাবেই এই এলাকায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ কিছুতেই ঢুকতে দেওয়া হবে না তাদের৷’’