নয়াদিল্লি: কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনে বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব শচীন তেন্ডুলকর। কিন্তু ‘ক্রিকেট ঈশ্বরের’ এহেন রাজনৈতিক অবস্থান ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই।এরপর এদেশে তাঁর প্রচলিত ভাবমূর্তিতে কালি লাগানোর কাজ করেছে বিরোধীরা। সমালোচনার সেই সুর বজায় রেখেই এদিন শচীন তেন্ডুলকর সম্পর্কে মুখ খুললেন এনসিপি দলের প্রধান শরদ পাওয়ার।
ক্রীড়াজগতের বাইরে কোনো বিষয়ে মন্তব্য করার আগে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত শচীনের, এদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’কে এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন শরদ পাওয়ার। একইসঙ্গে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (NCP) প্রধান দেশের অন্যান্য তারকাদেরকেও অনুরূপ পরামর্শের ইঙ্গিত দিয়েছেন। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকার সহজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে, জানিয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী, নীতিন গডকরির মতো সরকারের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বকেই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে বলে মত শরদ পাওয়ারের।
সংবাদমাধ্যমের কাছে এদিন এনসিপি প্রধান বলেন, “শচীন তেন্ডুলকরের অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলার আগে আরো সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ অনেকেই কৃষক আন্দোলনে তারকাদের এই অবস্থান ভালো চোখে দেখেননি।” তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উচিত এগিয়ে এসে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা। তবেই এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।” তাঁরা কথা বললে কৃষক নেতাদেরও অবশ্যই আলোচনায় বসা উচিত বলেই জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
উল্লেখ্য, ভারতের কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট করেছিলেন মার্কিন পপ তারকা রিহানা, সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ আরো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপে গর্জে উঠেছিল ক্রিকেট থেকে বলিউড, অনেকেই। কৃষক আন্দোলনে কেন্দ্রের পক্ষ নিয়ে বিদেশী তারকাদের মন্তব্যের বিরোধিতা করার পর কেরালায় যুব কংগ্রেস নেতৃত্বকে শচীন তেন্ডুলকরের ছবিতে কালো তেল ঢালতে দেখা যায়। কোচির এই ঘটনায় দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে, কিন্তু মাস্টারব্লাস্টারের এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলে নি।