অমৃতসর: নভজ্যোত সিং সিধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। সোনিয়া গান্ধীকে সংক্ষিপ্ত একটি চিঠি লিখে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন সিধু। মূলত তাঁর জন্যই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়েছিল কংগ্রেস, এবার সেই সিধুই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস শিবির বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছে তা বলাই যায়। মাত্র কয়েক দিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে এসেছিলেন সিধু। মনে করা হয়েছিল তাঁকে হয়ত মুখ্যমন্ত্রী করা হবে পঞ্জাবের। যদিও তাঁর চরম বিরোধিতা করেছিলেন ক্যাপ্টেন। শেষমেষ, মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরণজিৎ সিং ছানিকে। সব মিলিয়ে পঞ্জাবের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়।
আরও পড়ুন- বন্ধুকে সকালের আদরে ভরিয়ে দিলেন সায়নী, শেয়ার করলেন ভিডিয়ো
সোনিয়া গান্ধীকে যে চিঠি সিধু লিখেছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন, ”আমি কখনও পাঞ্জাবের ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের সঙ্গে আপস করতে পারব না। আপস করলেই মানুষের চরিত্রের অবনমন ঘটে। আমি কখনও সেটায় রাজি নই। সেই কারণেই আমি পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পদ ছাড়ছি। কংগ্রেসের হয়ে আমি কাজ করে যাব।” তবে হঠাৎ কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সরে যাওয়ার পর সকলেই ভেবেছিল যে সিধু মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরণজিৎ সিং ছানিকে। তবে বলা হয়েছিল যে, সিধুর অনুগামীরা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবে, কিন্তু সেটাও হয়নি। তাই হয়ত এবার তিনি প্রতিবাদস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ইস্যু পিস্তল! ‘দিলীপ কাণ্ডে’ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের
অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং দিল্লি সফর করলেন। সূত্রের খবর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এরপর যদি তিনি বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে কংগ্রেস শিবিরের জন্য তা আরও বড় ধাক্কা হতে চলেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হয়তো ক্যাপ্টেনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শামিল করতে পারেন এবং কৃষিমন্ত্রী করতে পারেন! যদি এমনটা হয় তাহলে কৃষি বিল নিয়ে যে আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে তার রদ হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।