প্রশান্ত কিশোরের নতুন সারথি কি তবে সিধু? তুঙ্গে জল্পনা

প্রশান্ত কিশোরের নতুন সারথি কি তবে সিধু? তুঙ্গে জল্পনা

d491368890e4389ccd9f6d606388bd82

নয়াদিল্লি: একজন জাতীয় কংগ্রেসে প্রায় কোণঠাসা। তাঁকে নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ একাধিক নেতৃত্বদের একাধিক অভিযোগ। অন্যজন আবার কংগ্রেসের বহুকাঙ্খিত আবেদন ফিরিয়ে গতকাল অর্থাৎ সোমবারই নতুন দল ঘোষণার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমতাবস্থায় দুজনে যে একে অপরের পরিপূরক হবেন সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাতেই মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে কি আগামী দিনে কংগ্রেস ছেড়ে পিকে স্যারের হাত ধরে নতুন রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করতে চলেছেন কংগ্রেসের বিতর্কিত নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিং সিধু?

জানা যাচ্ছে, সোমবার প্রশান্ত কিশোরের টুইট বার্তার পরই তাঁকে টুইটারে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন সিধু। টুইটারে সিধু এদিন লেখেন, ‘প্রথম পদক্ষেপই অর্ধেক লড়াই বন্ধু।’ আর তারপর থেকেই উঠতে শুরু করেছে সিধু এবং প্রশান্ত কিশোরের হাত মেলানো নিয়ে একাধিক প্রশ্ন। আগামী দিনে তাঁদের দুজনকে হাতে হাত ধরে রাজনীতির মাঠে লড়াই করতে দেখা যাবে বলেই মনে করছে রাজনীতিবিদদের একাংশ।

উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ সোমবার প্রশান্ত কিশোর টুইটারে লেখেন, ‘গণতন্ত্রে অর্থপূর্ণভাবে অংশ নেওয়ার ও জনতার পক্ষে নীতি গঠনে সাহায্যের জন্য ১০ বছর ধরে অন্বেষণ করলাম। এখন রিয়েল মাস্টার হওয়ার সময় এসেছে। ইস্যুগুলো আরও ভালো করে বুঝতে মানুষের কাছে যাওয়ার সময় এসেছে। জন সুরজ- পিপলস গুড গভর্ন্যান্স (মানুষের সুশাসন)।’ তাঁর এই ধোঁয়াশা ঘেরা টুইটবার্তার পরপরই ফের একটি বিতর্কিত টুইট করেন পঞ্জাবের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে হাত মেলানোর জল্পনাকে পুনরায় উস্কে দিয়ে দিন তিনি লেখেন, ‘প্রথম পদক্ষেপই অর্ধেক লড়াই আমার বন্ধু। ভালো শুরু সর্বদা ভালো সমাপ্তি ঘটায়। আমাদের সংবিধানের চেতনাকে সম্মান জানানোর জন্য আপনার সর্বদা প্রচেষ্টা রয়েছে। মানুষের ক্ষমতা মানুষের কাছেই ফেরা উচিত।’ তারপর থেকেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।

তবে এর আগেও প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে সিধুকে। পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগেই সিধু বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোর নাকি তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।’ এখানেই শেষ নয়, কয়েকদিন আগে পিকে যখন কংগ্রেসের যোগদানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তখনও টুইটারে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান সিধু। তখন তিনি পিকেকে ‘পুরনো বন্ধু’ বলেও সম্মোধন করেন, যা পুনরায় অস্বস্তিতে পড়ে জাতীয় কংগ্রেস দল। ফলে আগামীতে এই দুই রাজনৈতিক যোদ্ধার পথ এক হলেও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *