‘নাথুরাম গডসে প্রকৃত জাজাতীয়তাবাদী’! গডসের গ্রন্থাগার খুলে বিতর্কে হিন্দু মহাসভা!

গোয়ালিয়রে এই লাইব্রেরী খুলেছে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।

a22a0b1ec16dafbf2418af606ab75b9f

 

গোয়ালিয়র: বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি এবং কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীকে অপমান করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। একাধিক সময় গান্ধীকে অপমান করার জন্য সরাসরি বিজেপিতে আক্রমণ করা হয়েছে। মূলত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধিক্কার জানানো হোক হয়েছে গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে সমর্থন করার জন্য। এবার হয়তো এই বিতর্ক সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল। কারণ মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে নিয়ে আসতো একটা লাইব্রেরী খোলা হল মধ্যপ্রদেশে! গোয়ালিয়রে এই লাইব্রেরী খুলেছে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।

নাথুরাম গডসেকে নিয়ে যে লাইব্রেরী মধ্যপ্রদেশে খোলা হয়েছে তার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন, এই লাইব্রেরি নতুন প্রজন্মকে দেশাত্মবোধ সম্পর্কে অবগত করবে এবং ভারতের একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামীর ব্যাপারে জ্ঞান দেবে। সব মিলিয়ে নতুন প্রজন্ম সেই সময়ের অনেক সত্যি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং দেশভাগের কারণ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে বলে দাবি করছে হিন্দু মহাসভা। একই সঙ্গে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশভাগের জন্য দায়ী ছিল কংগ্রেস, আর দেশের স্বাধীনতার জন্য বিপুল অবদান ছিল হিন্দু মহাসভার।পাশাপাশি তাঁদের তরফে বলা হয়, জওহরলাল নেহেরু এবং মহম্মদ আলি জিন্না দুজনেই নিজেদের স্বার্থ পূরণের জন্য ভারত ভাগ করতে চেয়েছিলেন।তবে গডসে এর বিরোধিতা করেছিলেন। এই লাইব্রেরী মারফত দেশের যুব শক্তি সমস্ত ব্যাপার পরিষ্কার বুঝতে পারবে। একই সঙ্গে তাদের তরফে স্পষ্ট দাবি করা হয়, মহাত্মা গান্ধী যত বড়ই নেতা হোক না কেন, তারা আজীবন নাথুরাম গডসের পক্ষপাতী হয়েই থাকবেন। 

উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক বার প্রকাশ্যে গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গদসের সমর্থনে মুখ খুলেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। হিন্দু মহাসভা গোয়ালিয়রে প্রতি বছর গডসে জন্মদিবস পালন করে। অন্যদিকে, তাঁকে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী হিসেবেও ব্যক্ত করে থাকে। প্রসঙ্গত, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যার দায়ে ১৫ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে ফাঁসি দেওয়া হয় নাথুরাম গডসেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *