নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে ফের কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি খোঁচা দিলেন কংগ্রেসকে৷ নমো বলেন, মহত্মা গান্ধী চাননি কংগ্রেসের হাতে দেশকে তুলে দিতে৷ তিনি ক্ষমতালোভী পরিবারতন্ত্র চাননি৷
আরও পড়ুন- তৃণমূল নয়, রাহুলের ‘হাত’ ধরলেন ত্রিপুরার সুদীপ
এখানেই শেষ নয়, নমো আরও বলেন, কংগ্রেস না থাকলে অনেক কিছুই হত না৷ কংগ্রেস না থাকলে জরুরি অবস্থা হত না, সাম্প্রদায়িকতা দেখা দিত না৷ ভালো থাকত দেশের মানুষ৷ এদিন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর বিরুদ্ধেও সরব হন মোদী৷ তিনি বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতার বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। এটাই তাদের সমস্যা৷ এরপরেই তাঁর দাবি করেন, এই ক্ষমতালিপ্সু কংগ্রেসের হাতে দেশের দায়িত্ব দিতে চাননি মহাত্মা গান্ধীও।
এদিকে সামনেই গোয়ায় বিধানসভা ভোট৷ তার আগে গোয়াবাসীকে নেহরুর অন্যায়ের কথা মনে করান প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, নেহরুর নিষ্ক্রিয়তার জন্যই স্বাধীনতার ১৫ বছর পর গোয়া দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিল গোয়া। নেহরু নাকি বলেছিলেন, তিনি কোনও ভাবেই গোয়াতে সেনা পাঠাতে চান না৷ আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের ভাবমূর্তির বজায় রাখা নিয়েই নেহরু বেশি আগ্রহী ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন মোদী৷ তাঁর কথায়, নেহরু নিজের দেশের লোককে অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছিলেন। নেহরুকে এদিন অহংকারী বলে অবিহিত করেন নমো।
এদিন বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, ‘কংগ্রেস না থাকলে দেশ থাকত না। দেশে গণতন্ত্র থাকত না।’ এর পরেই তুলোধোনা করেন মোদী৷ তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস না থাকলে তন্দুরে মেয়েদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটত না, সাধারণ মানুষকে মৌলিক অধিকারের জন্য এত বছর অপেক্ষা করতে হত না, দেশে জাতপাত ও আঞ্চলিকতার ব্যবধান এতটা গভীর হত না৷’ তিনি আরও বলেন, ‘ কংগ্রেস না থাকলে শিখ হত্যাকাণ্ড ঘটত না, পঞ্জাব বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদীদের হাতে আক্রান্ত হত না, কাশ্মীরের পণ্ডিতদের কাশ্মীর ছেড়ে যেতে হত না। কংগ্রেস না থাকলে গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত থাকত, ভারত নিজস্ব সিদ্ধান্তে চলতে পারত, কংগ্রেস না থাকলে দেশে জরুরি অবস্থা হত না৷’