নয়াদিল্লি: নীরব মোদির সাধের বাংলোয় বিস্ফোরণ, নীরব মোদিকে নিশ্চই মনে আছে? সেই যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া হীরে ব্যবসায়ী। মামা মেহুল চোকসিও দেশ ছাড়া। যে কারণে সারদা কেলেঙ্কারি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার হয়েই চলেছে। সেই নীরব মোদীকে দেশে ফেরাতে না পারার ব্যর্থতা লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকারকে বেশ কয়েক পা পিছিয়ে দিয়েছে এ বিষয়ে কোনওরকম সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রথমে বিজয় মালিয়ার বিদেশে আত্মগোপন পরে নীরব মোদি ও রাহুল চোকসি। এমনকী, দাভোসে বিদেশ সফরে গিয়ে নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাক্যালাপ প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।
রাফাল দুর্নীতি চাপা দিতে গিয়ে পুলওয়ামা কাণ্ড ও পরবর্তিতে নকল এয়ার স্ট্রাইকের ঘটনায় কেন্দ্রের প্রতি দেশবাসীর ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় জনগণের আগ্রহ বাড়াতে নীরব মোদির বাংলোটিকেই মাটিতে মিশিয়ে দিল মহারাষ্ট্র সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের আলিবাগে। সেখানেই আরব সাগরের তীরে রয়েছে হীরে ব্যবসায়ীর ৩৩ লক্ষ বর্গফুটের প্রাসাদোপম বাংলো। ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে তৈরি এই প্রাসাদ এদিন ডিনামাইটে গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ। একসঙ্গে অনেকগুলো ডিনামাইটের সৌজন্যেই ধূলিসাৎ হয়ে গেল সাধের প্রাসাদ।
অভিযোগ, আলিবাগের ওই প্রাসাদ আসলে বেআইনি নির্মাণ,হীরে ব্যবসায়ী দেশে থাকাকালীন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও তা কার্যকরী হয়নি। এদিকে ২০হাজার কোটির ঋণ পরিশোধ না করে নীরব মোদির ফেরার হওয়ার ঘটনা বছর ঘুরতে চলল। এতদিন কেন্দ্র চুপ করে থাকলেও ভোটের আগে ভাবমূর্তির উন্নতি করতেই ডিনামাইটে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল নীরব মোদির আলিবাগের প্রাসাদ। সমুদ্রের প্রায় কিনারায় এই প্রাসাদ নির্মাণের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছিল, এই অভিযোগ তো ছিলই তার সঙ্গে জুড়েছে হীরে ব্যবসায়ীর আর্থিক কেলেঙ্কারি। এদিন যেন পুঞ্জিভূত ক্ষোভও বিস্ফোরণে মিশে গেল, ১০০ কোটির প্রাসাদ এখন শুধুই স্মৃতি।