নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী এবং ড. মনমোহন সিংয়ের পর ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় দিল্লির মসনদে থাকা চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদী৷ অটল বিহারি বাজপেয়ীর পর অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনিই সবচেয়ে বেশি দিন দিল্লির তখতে রইলেন৷
আরও পড়ুন- দেশের কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে নয়া প্রকল্পের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
২০১৪ সালের ২৬ মে, দেশের ১৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবার শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী৷ ২০১৯ সালের ৩০মে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন নমো৷ এখনও পর্যন্ত ভারতে সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরু৷ ১৭ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন তিনি৷ এর পর রয়েছেন তাঁর কন্যা তথা দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী৷ তাঁর শাসনকাল ১১ বছর৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ড. মনমোহন সিং৷ পাঁচ বছর করে দুটি মেয়াদ পূরণ করেছিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- রাজ্যকে করোনা ভ্যাকসিন পাঠাবে কেন্দ্র, বণ্টনের দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতেই
অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অনেকেই দিল্লির মসনদে বসেছিলেন৷ কিন্তু অধিকাংশই তাঁদের মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি৷ যাঁরা কার্যকালের মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি, তাঁরা হলেন, মোরারজি দেশাই (২৪ মার্চ, ১৯৭৭ থেকে ২৮ জুলাই ১৯৭৯), চরণ সিং (জুলাই ২৮, ১৯৭৯ থেকে ১৪ জানুয়ারি, ১৯৮০), বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং (২ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ থেকে ১০ নভেম্বর, ১৯৯০), চন্দ্র শেখর (১০ নভেম্বর, ১৯৯০ থেকে ২১ জুন, ১৯৯১), এইচডি দেবেগৌড়া (১ জুন, ১৯৯৬ থেকে ২১ এপ্রিল, ১৯৯৭) এবং ইন্দ্র কুমার গুজরাল (২১ এপ্রিল, ১৯৯৭ থেকে ১৯ মার্চ, ১৯৯৮)৷
আরও পড়ুন- ‘বাবা এখনও বেঁচে আছেন’, প্রণব ‘মৃত্যু’র গুজব রুখতে আর্জি অভিজিৎ-শর্মিষ্ঠার
Today, PM Modi becomes the 4th longest serving PM in Indian history!
— Prasar Bharati News Services (@PBNS_India) August 13, 2020
দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন আগেই দেশের দীর্ঘ মেয়াদ পূরণকারী চতুর্থ প্রধানমন্ত্রীর স্থান ছিনিয়ে নিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ আগামী শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় সপ্তমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি৷ তবে করোনা আবহে এবার বদলে যাচ্ছে লাল কেল্লায় চিরাচরিত স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সমারোহ অনেকটাই ছেঁটে ফেলতে হচ্ছে। খুব বেশি হলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনার জন্য উপস্থিত থাকবেন সব মিলিয়ে হাজার খানেক মানুষ৷