কলকাতা: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৬, মৃত ১০। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২১ দিন করেছেন। আর এই দীর্ঘ সময়ের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক কৌশুলি প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য 'পিছিয়ে থাকলে এভাবেই তার মূল্য দিতে হয়।’ লকডাউন নিয়ে টুইটারে এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন 'ভারতকে ২১ দিন লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়তো সঠিক। কিন্তু ২১ দিন সময়টা একটু বেশি।' তবে এতেই থেমে থাকেননি। তিনি আরও লিখেছেন 'করোনা মোকাবিলায় কমজোর প্রস্তুতি ও দরিদ্রদের জন্য নূন্যতম সুরক্ষা, আগামী দিনগুলোতে আমরা আরও কঠিন পরিস্থিতি দেখবো।'
আরও একটি টুইটে তিনি লিখেছেন 'পর্যাপ্ত পরীক্ষা, পৃথকীকরণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়াই শুধুমাত্র লকডাউন করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছে এরকম কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করার ফলে হয়তো লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এটা সত্যি যে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবনযাত্রা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে'।
করোনা নিয়ন্ত্রণে এখনো পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলই প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতায় তেমন কোনো উচ্চবাচ্চ না করলেও, কয়দিন আগে রাহুল গান্ধী কিছুটা কড়া মনোভাব পোষণ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে দুঃস্থ দিনমজুর শ্রেণীর মানুষের পাশে কিভাবে দাঁড়াচ্ছে সরকার সেই প্রশ্ন তুলে মোদিকে কটাক্ষ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় ভারতের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, শুধুমাত্র লকডাউন করেই যে করোনা রোখা যাবে না সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকেও নজর দিতে হবে উল্লেখ করেছে হু। তাদের মতে করোনা নিয়ন্ত্রণে এই রোগে আক্রান্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে মত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আইসোলেশনে পাঠাতে হবে। এমনকি একই আশংকা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। শুধুমাত্র আক্রান্ত সন্দেহে নয়, সর্দি-কাশি উপসর্গ আছে এমন আরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হওয়া উচিত বলেও মত পোষণ করেছেন তাঁরা।