মুম্বই: ঘোড়ায় চড়ে বর বিয়ে করতে যাওয়ার প্রথা তো রয়েছে৷ তবে ঘোড়ায় চেপে অফিস! এও সম্ভব? করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রতিদিন ঘোড়ায় চেপে অফিস যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মচারী৷ করোনা প্রথম ইনিংস শেষ করে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে শুরু করেছে৷ আর তাতেও স্বমহিমায় ব্যাটিং করছে কোভিড ১৯৷ বেশ কিছু রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে লকডাউন প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়েছে৷ সেই তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্রও৷ এবার মহারাষ্ট্রের নান্দেদ শহরের এক সরকারি কর্মচারী প্রতিদিন ঘোড়ায় চেপে অফিস আসার সুযোগ পেতে ওপরমহলের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছেন৷
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই অনেক নিত্যযাত্রীই স্কুটার, সাইকেল বা গাড়িতে অফিস যাওয়ার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। তবে সংক্রমণ এড়াতে কেউ টগবগ করে ঘোড়া ছুটিয়ে অফিস যাচ্ছেন, এই দৃশ্য কল্পনা করা অবাস্তব। সতীশ পঞ্জাবরাও দেশমুখ মহারাষ্ট্রের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্ট অফিসার। তিনি নান্দেদ কালেকটোরেটে এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে কাজ করেন। তিনি এধরনের অদ্ভূত আর্জির কথা চিঠি লিখে কালেক্টর অফিসে জানিয়েছেন। তাঁর সাফ বক্তব্য, প্রতিদিন অফিস যেতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে তিনি কাজে যেতে চান ঘোড়ায় চড়ে।
দেশমুখ চিঠিতে লিখেছেন, তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তিনি পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত। তাই তাঁর এমন কিছু ব্যবস্থা প্রয়োজন, যাতে তিনি স্বস্তিতে কাজে যোগ দিতে পারেন। বাইক বা স্কুটার চালিয়ে তাঁর পক্ষে কাজে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ এতে তাঁর পিঠের ব্যথা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাড়ি কেনাও তাঁর সাধ্যের বাইরে। তাই আপাতত একটি ঘোড়া কেনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। চিঠিতে ঘোড়ায় চেপে অফিস যাওয়ার অনুমতির সঙ্গে সঙ্গে ঘোড়া পার্ক করার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া মাত্র ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ তবে অনেকেই দেশমুখের এই ইচ্ছেতে ঠাট্টা করলেও, বেশিরভাগ মানুষই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন৷