নাটকের নাম সিবিআই কাণ্ড, অলোক ভার্মা কি চ্যালেঞ্জের পথে হাঁটবেন?

তিয়াষা গুপ্ত: মিড নাইট ড্রামা দিয়ে নাটকের অখ্যান আড়ম্ভ। সিবিআই নিয়ে জলঘোলা হয়েই চলেছে। এককথায় বিরামহীন। শুরুটা কয়েক মাস আগে হয়েছিল। সেই সময় নাটকের নাইট শো-র সাক্ষী থেকেছে দেশ। এবার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তারপরেও ঘটনার ঘনঘটা। সিবিআই প্রধানের পদ থেকে সরানোর পর অন্তর্বর্তিকালীন ডিরেক্টর পদে আনা হল এম নাগেশ্বর রাওকে। প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক

নাটকের নাম সিবিআই কাণ্ড, অলোক ভার্মা কি চ্যালেঞ্জের পথে হাঁটবেন?

তিয়াষা গুপ্ত: মিড নাইট ড্রামা দিয়ে নাটকের অখ্যান আড়ম্ভ। সিবিআই নিয়ে জলঘোলা হয়েই চলেছে। এককথায় বিরামহীন। শুরুটা কয়েক মাস আগে হয়েছিল। সেই সময় নাটকের নাইট শো-র সাক্ষী থেকেছে দেশ। এবার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তারপরেও ঘটনার ঘনঘটা।

সিবিআই প্রধানের পদ থেকে সরানোর পর অন্তর্বর্তিকালীন ডিরেক্টর পদে আনা হল এম নাগেশ্বর রাওকে। প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মাকে পাঠানো হয়েছিল দমকল ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি করে। সেই পদে যোগ দিতে অস্বীকার করলেন অলোক ভার্মা। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবকে এক চিঠিতে ভার্মা লিখেছেন, আমাকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সিলেকশন কমিটি আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোনো সুযোগ দেয়নি। ওড়িশা ব্যাচের আইপিএস অফিসার নাগেশ্বর রাও আপাতত প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগেরও তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছন নাগেশ্বর রাও।

এর আগে সিবিআই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদে পুনর্বহাল করা হল অলোক ভার্মাকে। গত ২৩ অক্টোবর তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে তার রায়ে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

নাটক অন্তহীন
অক্টোবরে মিড নাইট ড্রামা দিয়ে নাটকের আখ্যান শুরু। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভ্যন্তরে অনেক দিন ধরেই জটিলতা চলছিল। পরে তা রাতে নাটকীয় মোড় নেয়। সিবিআই স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা ও প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক ভার্মার মধ্যে কাজিয়া তদন্তকারী সংস্থার ভিড় নাড়িয়ে দেয়। আস্তানার বিরুদ্ধে ঘুষ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর গ্রেফতার এড়াতে তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আপিল করেন আস্তানা। হাই কোর্ট ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আস্তানার গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দেয়। সিবিআইয়ের ২ কর্তার দ্বন্দ্ব চরমে ওঠায় মাঝ রাতে তদন্তকারী সংস্থার অভ্যন্তরীণ কাঠামোয় পরিবর্তন নতুন মোড় নেয়। দিল্লির সিবিআই দফতরে দফায় দফায় বৈঠক বসে। মাঝরাতে আচমকা বিজ্ঞপ্তি জারি করে অলোক ভার্মাকে ডিরেক্টর পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আস্তানাকেও। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি ভার্মার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তিকালীন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্যতম জয়েন্ট ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাওকে। সেদিনই কার্যত সিবিআইয়ের খোল নলচে বদলে দেওয়া হয়।

এত তাড়া কিসের?
কেন এত তাড়াহুড়ো কের ভার্মাকে সরানো হল? সুপ্রিম কোর্ট ভর্মাকে পুনর্বহাল করার পর তিনি দায়িত্ব ফিরেই যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তাতে খুশি ছিল না সরকার। তাই তাঁকে সরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর সঙ্গে থাকা অনেক আধিকারিককেই সেই সময় বদলি করা হয়েছিল। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ভার্মা চেষ্টা করেন বলে সূত্রের খবর।

কী করতে পারেন ভার্মা ?
যতদূর শোনা যাচ্ছে ভার্মা সিলেকশন কমিটির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন। সেইসঙ্গে আগামী দিনে তিনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা, এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − fifteen =