অসম: মধ্যযুগীয় বর্বরতা অসমের উদালগুড়িতে৷ তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশুকে বলির চেষ্টা৷ বলির চেষ্টা ৩ বছরের শিশুকে৷ শিশুকে বলির চেষ্টা শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের৷ বাড়িতেই বিবস্ত্র হয়ে মন্ত্রজপ শিক্ষক পরিবারের৷ শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ ও সিআরপিএফ৷ শিশুকে উদ্ধার করতে শূন্যে গুলি পুলিশের৷ শিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন তান্ত্রিকের৷ বাইক, গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় জনতা৷ করা হয় গ্রেপ্তার৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের আয় কমে যাওয়ার কারণে ওই তিন বছরের শিশুকে বলি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ তান্ত্রিকের নির্দেশে আজ ভোরে বাড়ির উঠানে এক হাঁটু জমিয়ে নগ্ন অবস্থায় করা হয় মন্ত্রজপ৷ সেখানেই শিশুটিকে বলি করার জন্য মন্ত্র আওড়াতে থাকেন তান্ত্রীক৷ বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে পুলিশকে খবর দেন উত্তেজিত জনতা৷ পুলিশ এসে শূন্য গুলি চালিয়ে তন্ত্রমন্ত্রের আসর ভাঙে৷ গুলি লাগে শিক্ষক ও তার ছেলের৷ গুলি লেগে শিক্ষককের ছেলের মৃত্যু হয়৷ জলের মধ্যে শুয়ে রাখা শিশুটিকে উদ্ধা করে পুলিশ৷ ক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালয়৷ অভিযুক্তদের দেওয়া হয় গণধোলাই৷ পরে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে৷
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ওই বাড়ির এক তরুণী আত্মঘাতী হন৷ তারপর থেকেই শিক্ষকের পরিবার তন্ত্রমন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে৷ যাকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল সেই শিশুটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের আত্মীয় বলে খবর৷ তন্ত্র সাধনার জন্য তার বাবা নিজেই মেয়েকে ওই পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ৷