গায়ে পেরেক ফুটিয়ে অত্যাচার, পুলিশের মারে মৃত ২ বন্দি

পাটনা: অপরাধী সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে এনে দুই যুবককে পিটিয়ে খুন করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ছাপরা জেলার দুমরা থানায়। অভিযোগ, আটক দুই যুবকের গায়ের চামড়ায় পেরেক গেঁথে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। তুলে আনার ২০ ঘণ্টার মধ্য়েই তাঁদের মৃত্যু হয়, তবে পুলিশের তরফে মৃতদের পরিবারের কাছে খবর পৌঁছায় অনেক পরে। এই ঘটনায় সুপার, দারোগা-সহ

গায়ে পেরেক ফুটিয়ে অত্যাচার, পুলিশের মারে মৃত ২ বন্দি

পাটনা: অপরাধী সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে এনে দুই যুবককে পিটিয়ে খুন করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ছাপরা জেলার দুমরা থানায়। অভিযোগ, আটক দুই যুবকের গায়ের চামড়ায় পেরেক গেঁথে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। তুলে আনার ২০ ঘণ্টার মধ্য়েই তাঁদের মৃত্যু হয়, তবে পুলিশের তরফে মৃতদের পরিবারের কাছে খবর পৌঁছায় অনেক পরে। এই ঘটনায় সুপার, দারোগা-সহ পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেপরেই এহেন ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে বিহারের নীতিশ কুমার সরকার। এমনিতেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা এককাট্টা, তারমধ্যে এই ঘটনা নীতিশ কুমারকে অস্বস্তিতে ফেলবে সন্দেহ নেই।

জানা গিয়েছে, মৃত দুই যুবক হলেন তাসলিম আনসারি ও গুফরান আল। পুলিশ তাঁদের ডাকাতি ও খুনের কেসে জড়িত সন্দেহে আটক করলেও পরিবারের দাবি দুই যুবক মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। গুফরান দোহায়, তাসলিম সৌদি আরবে। তাঁরা সেখানে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করেন, ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। গুফরানের পাঁচ বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে রয়েছে। ছেলেক স্কুলে ভর্তির জন্যি বাড়িতে থেকে যান তিনি। কোনওরকমের অপরাধ মূলক কাজে তাঁরা জড়িত ছিলেন না।

পুলিশ সেদিন রাতে এসে কিছু না বলেই জেরা করার নামে গুফরানকে তুলে নিয়ে গেল পরে জানতে পারলাম এলাকার আরও এক যুবক তাসলিমকেও সেরাতে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। সকালবেলায় থানায় গিয়ে জানতে পারলাম তারা সেখানে নেই। পরে আবার থানায় গেলে এক পুলিশকর্মী জানান, দুজনকে দুমরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ লকআপে গুফরানকে দেখে মনে হয়েছিল ও অর্ধমৃত। মেরে পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। দুপুরে ফের থানায় গিয়ে জানতে পারি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাদের। সেখানে গেলে জানা যায়,মারধরের জেরে দুই যুবকের মৃত্যু হওয়ায়া পোস্টমর্টেমের জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছে। দেশে তো আইন আদালত আছে, ছেলেদুটোকে অপরাধে জড়িত সন্দেহে তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলল পুলিশ, এবার আমাদের কী হবে। কান্নায় ভেঙে পড়ে একথাই জানালেন গুফরান ও তাসলিমের বাবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 18 =