মুম্বই: ধর্মের নামে বিভাজন আমাদের সমাজে নতুন কোনও অধ্যায় নয়৷ ধর্মের নামে বার বার আমাদের সমাজকে ভেঙে দুমরে-মুচড়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ কিন্তু মানবতার কাছে হার মেনেছে এই বিভেদ নীতি৷ মানবতার ধর্ম খুঁজে নিয়েছে ঐক্যের পথ৷ এমনই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক ব্যক্তি৷
আরও পড়ুন- স্বাভাবিকের পথে দেশ, আন্তঃরাজ্য চলাচলে আর বাধা নয়, অনুরোধ স্বরাষ্ট্র সচিবের
ধর্মের ছুঁৎমার্গ হেলায় উড়িয়ে দুই হিন্দু অনাথ বোনকে দত্তক নিয়েছিলেন বাবাভাই পাঠান৷ দুই বোনের দেখাভালের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি৷ এমনকী নিজের জমানো পুঁজি খরচ করে বিয়েও দিলেন তাঁদের৷ মুসলিম হয়েও বোনেদের ধর্মকে যথাযখ মার্যাদা দিয়েছেন তিনি৷ তাঁদের বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু রীতিনীতি মেনেই৷ বিয়ের যাবতীয় নিয়ম পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে৷ তাঁর এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা৷ তাঁর এই মানবিক কাজে মুগ্ধ নেট নাগরিকরা৷ অন্য ধর্মের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা, প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে আপামর দেশবাসীর৷ ধর্মীয় গোঁড়ামি ভেঙে দুই বোনের প্রকৃত দাদা হয়ে উঠেছেন আহমেদনগরের বাবাভাই পাঠান৷ এটাই তো ধর্মনিরপেক্ষা ভারতের প্রকৃত ছবি৷ আহমেদনগরের এই ঘটনা হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ১৮টি দেশ ঘুরে এক বাসে দিল্লি থেকে লন্ডন, কীভাবে সম্ভব জানেন?
বাবাভাই পাঠানের এই কাজের প্রশংসা করে উপচে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্স৷ টুইটারে এক ইউজার বলেছেন, ‘‘তিনি প্রকৃত ভারতীয়৷ ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের এই শিক্ষাই দেয়৷’’ অপর এক ইউজারের কথায়, ‘‘বাবাভাইয়ের এই কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়৷ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করা উচিত৷ পাশে দাঁড়ানো উচিত মানুষের৷’’ অনেকের কাছে আবার বাবাভাই এখন ‘গ্রেট হিরো’৷ কিন্তু এমন উদার মনের মানুষের সংখ্যা যে নিতান্তই কম, তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই৷