মাদকের নেশা বুঁদ একাধিক অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী! নজর নার্কোটিক বিভাগের

মাদকের নেশা বুঁদ একাধিক অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী! নজর নার্কোটিক বিভাগের

 

বেঙ্গালুরু:  শহরের বুকে ক্রমেই ছড়াচ্ছে মাদক জাল৷ উচ্চবিত্ত থেকে কলেজ পড়ুয়া সমাদের একটা অংশ ড্রাগের নেশায় বুঁদ৷ দীর্ঘ দিন ধরেই তক্কেতক্কে ছিল পুলিশ ও নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরো৷ কিছু দিন আগেই কর্ণাটকে ধরা পড়ে একটি মদক চক্র৷ এবার নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর আতস কাঁচের নীচে এল এই দক্ষিণী রাজ্যের বেশ কিছু বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেতা৷ 

নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরো জানিয়েছে, ২১ অগাস্ট বেঙ্গালুরুর কল্যাণনগরে ‘রয়্যাল সুট হোটেল অ্যাপার্টমেন্ট’ থেকে ১৪৫টি এমডিএমএ পিল এবং ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরো ডেপুটি ডেরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা একটি বিবৃতিতে জানান, ‘‘পরবর্তী পদক্ষেপে বেঙ্গালুরুর নিকু হোমস থেকে ৯৬টি এমডিএমএ বড়ি এবং লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি) ব্লট উদ্ধার করা হয়৷’’ তিনি আরও জানান, ‘‘পরে এই চক্রের মূল কিংপিং এক মহিলা মাদক পাচারকারিকে আটক করা হয়৷ এর পর বেঙ্গালুরুতে তাঁর ডোডাগুব্বির বাড়ি থেকে ২৭০টি এমডিএমএ পিল উদ্ধার করা হয়৷’’ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অভিযুক্তরা হলেন, এ অনুপ, আর রবীন্দ্রন এবং অনিখা ডি৷ 

আরও পড়ুন- ৬২তম জন্মদিনে ৬২.৪ কোলিমিটার দৌড় ‘যুবকে’র, উদ্বুদ্ধ নেটিজেনরা

মালহোত্রা বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সমাজের কিছু উচ্চবিত্তদের কাছে এই মাদক সরবরাহ করত৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেতাও৷ এমনকী কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যেও মাদকের নেশা ছড়াতে সক্ষম হয়েছিল তাঁরা৷’’ এই মামলায় খুব শীঘ্রই আরও কয়েকজনকে গ্রফতার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ 

গত মাসে মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত রহমান-কে নামে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ফেডেরাল অ্যান্টি-নার্কোটিক এজেন্সি৷ এই রহমানই কলেজ পড়ুয়া এবং তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে এমডিএমএ ড্রাগ বিক্রি করত বলে অভিযোগ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অনলাইনে বিটকয়েনের মাধ্যমে বেশ কিছু এমডিএমএ পিল অর্ডার করেছিল রহমান৷ মাদক চক্রে জড়িত সন্দেহে মুম্বই থেকেও গ্রেফতার করা হয় এক দম্পতিকে৷

আরও পড়ুন- BREAKING: মহরমের তাজিয়ায় নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টের, খারিজ আবেদন

দেশীয় বাজারে মেথাইলেনডায়োক্সি-মেথামফেটামাইন  বা ‘এমডিএমএ’, কিংবা ওই মাদকেরই একটি ‘এক্সট্যাসি ট্যাবলেট’-এর দাম ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকা৷ এগুলি তৈরি হয় ইউরোপে৷ কোনও ক্ষেত্রে চিনির কিউবের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় কয়েক ফোঁটা ‘এলএসডি’। চলতি কথায় যার নাম অ্যাসিড। সাদা চোখে দেখলে মনে হয় কেই চিউইং গাম চিবোচ্ছেন, কিংবা লজেন্স চুষছেন৷ আসলে এর মধ্যেই রয়েছে মাদক৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − twelve =