মুম্বই: দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের নৃশংস স্মৃতি ফিরে এসেছিল মুম্বইয়ে। ধর্ষণের পর মহিলার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে চলেছিল মারাত্মক অত্যাচার। তার পরে প্রায় ৩৩ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় সেই ভাগ্যহীনার। এই ঘটনায় জড়িত হিসেবে ৪৫ বছরের মোহন চৌহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনায় আরও একাধিক দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে। তবে মোহনকে নিয়েই এখন জেরা চলছে পুলিশের। আর মোহনের বাবা তার ছেলেই এই ‘কীর্তিতে’ হতভম্ব। তিনি স্পষ্ট বলছেন, পুলিশ যদি তার ছেলেকে গুলি করেও মারে তাতেও তিনি আক্ষেপ করবেন না।
আরও পড়ুন- আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ফের ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের ছেলের উপরেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। মন্তব্য করেন, পুলিশ যদি তাঁর ছেলেকে গুলি করেও মারে, তাঁর কোনও আফশোস হবে না। আসলে তার ছেলে যে এই কাজ করতে পারে তিনি সেটা আগে বিশ্বাস করেননি। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর তিনি হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন। মা হারা তার ছেলে যে এই রকম পাশবিক এবং নারকীয় ঘটনা ঘটাতে পারে তা কিছুতেই ভাবতে পারছেন না তিনি। উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোররাতে মুম্বইয়ের সাকিনাকা এলাকার একটি ফাঁকা টেম্পো থেকে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। রক্তাক্ত এবং অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। ব্যাখ্যা করা যায় না এমন অত্যাচার চালানো হয়েছিল তার ওপর, সেই গুরুতর আঘাত নিয়েই জীবন যুদ্ধে লড়ছিলেন তিনি। তবে ৩৩ ঘণ্টা পর সেই লড়াই শেষ হয়।
আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়া রাস্তায়? আজ থেকে শহরজুড়ে কড়া অভিযান
ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছে, যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের আগে মহিলাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছে অভিযুক্ত। তার পর তাঁকে ধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয় সে। বার বার সেই রড দিয়ে মহিলার যৌনাঙ্গে আঘাত করতেও দেখা গিয়েছে। এর পরই মহিলাকে পাশে দাঁড়ানো একটি ফাঁকা টেম্পোতে তুলে সেখান দিয়ে পালিয়ে যায় সে। বেশ কিছু সময় পর এক ব্যক্তি মহিলাকে দেখতে পান। অচৈতন্য অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পেয়েই পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ফোন করেন তিনি।