মুম্বই: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহার দেশ কিছুটা সামলে উঠেছে৷ কিন্তু চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক৷ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউয়ে আঘাত আসতে পারে শিশুদের উপর৷ এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যনগরীতে পেডিয়াট্রিক সেরো-সার্ভে শুরু করেছিল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (বিএমসি)৷ তাতে দেখা গিয়েছে, ৫১.১৮ শতাংশ শিশুর মধ্যে SARS-CoV-2-র বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে৷ যা তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা কম করেছে৷
আরও পড়ুন- দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু অনেকটাই কম, দ্বিতীয় তরঙ্গ কার্যত শেষ?
সোমবার সেরো সার্ভের রিপোর্টটি প্রকাশ করেন বিএমসি’র কমিশনার আইএস চাহাল৷ তিনি বলেন, এই সমীক্ষার ফলাফল ‘উৎসাহব্যঞ্জক’৷ রক্তে এই অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থেকে বোঝা যায় অতীতে সংক্রমণ হয়েছে এবং উল্লেখ্য হল, একই ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কার্যকর থাকে৷ মুম্বইতে শিশুদের নিয়ে এই সেরো সার্ভেটি পরিচালনা করেছিল বিএমসি পরিচালিত নায়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ শহরের ২৪টি ওয়ার্ড থেকে ২ হাজার ১৭৬টি স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়৷ সমীক্ষা শুরু হয়েছিল ১ এপ্রিল থেকে৷ সেই সময় দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ ছিল তুঙ্গে৷ ১৫ জুন পর্যন্ত এই সার্ভে চলে বলে জানান নায়ার হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজির প্রধান ড. জয়ন্তী শাস্ত্রী৷
তিনি আরও বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷ তার উপর শিশুদের টিকাকরণও সম্ভব হয়নি৷ তবে সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে ৫১.২ শতাংশ শিশুর শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে৷’’ তিনি আরও জানান, আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের ৫৪.০৪ শতাংশ শিশু ও স্বচ্ছল পরিবারের ৪৭ শতাংশ শিশুর রক্তে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে৷ ১০ থেকে ১৪ বথরের শিশুদের মধ্যে সেরো পজেটিভের হার সবচেয়ে বেশি৷ সবচেয়ে কম ১ থেকে ৪ বছরের শিশুদের মধ্যে৷
আরও পড়ুন- প্রতিটি রাজ্য চালু করতে হবে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
দেশের যে কটি জায়গায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মহারাষ্ট্র৷ এই রাজ্যে ৬০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন৷ মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার মানুষ৷