করোনা আবহে চোখ রাঙাচ্ছে নতুন প্রাণঘাতী ভাইরাস, মুম্বইয়ে মৃত্যু ২ শিশুর

মুম্বাই: এখনও পিছু ছাড়েনি করোনা। আর এর মধ্যে হানা দিয়েছে নতুন এক ভাইরাস। নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দেশের ১৮ জন শিশু। তাজের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, করোনা ভাইরাস পজিটিভ ছিল এমন শিশুদের শরীরেই এই নতুন ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। আক্রান্ত ১৮ জন মুম্বাইয়ের ওয়াদিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়ছে, তাদের শরীরে পেডিয়াট্রিক মাল্টিসেস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের (পিএমআইএস) লক্ষণ দেখা গিয়েছে।

 

মুম্বই: এখনও পিছু ছাড়েনি করোনা। আর এর মধ্যে হানা দিয়েছে নতুন এক ভাইরাস। নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দেশের ১৮ জন শিশু। তাজের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, করোনা ভাইরাস পজিটিভ ছিল এমন শিশুদের শরীরেই এই নতুন ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। আক্রান্ত ১৮ জন মুম্বাইয়ের ওয়াদিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়ছে, তাদের শরীরে পেডিয়াট্রিক মাল্টিসেস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের (পিএমআইএস) লক্ষণ দেখা গিয়েছে।

এই রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে দেখা যায়। এই ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর ১০ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশুদের এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। ICMR-কে নতুন রোগ সম্পর্কে ইতিমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এগুলি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই রোগকে চলতি কথায় কাওয়াসাকি ডিজিজ বলে। শুধু মুম্বাই নয়, চেন্নাই, দিল্লি এবং জয়পুরেও একই রকম কিছু ঘটনা ঘটেছে। ওয়াদিয়া শিশু হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডাঃ শকুন্তলা প্রভু জানিয়েছেন, “দুটি বাচ্চা মারা গিয়েছে। একজনের ক্যান্সারের সাথে কোভিড-১৯ ছিল। অন্যজন যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়, তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। এদের দু'সপ্তাহ ধরে অসুস্থতা ছিল। তারপর রোগীকে আমাদের রেফার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় শিশুকে ভেন্টিলেটারে দেওয়াক ছ'ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়। কারণ আমদের কাছে সময় ছিল খুব কম। তাকে শেষ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।”

SRCC শিশু হাসপাতালের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ এবং ক্রিটিকাল কেয়ার সোসাইটির সেক্রেটারি বলেন, এক্ষেত্রে শিশুর শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব, রক্তচাপ কমে যাওয়ায়, ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি, হাত পা ফুলে যাওয়া, গলা ব্যথা, কাশি, মূর্ছা, বিরক্তি এবং বিভ্রান্তি, হৃদযন্ত্রে সমস্যা ইত্যাদি দেখা যায়। এক্ষেত্রে রোগীর প্রায় দুই থেকে তিন দিন ধরে জ্বর থাকে। ৮০ শতাংশ রোগীর আমাশয় এবং বমি হয়। ৬০ শতাংশ বাচ্চার চোখ লাল হয়ে যায় এবং অন্যদের ত্বরে ফুসকুড়ি দেখা যায়। করোনার মধ্যে নতুন এই রোগ চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসক মহলকে। জুন মাসে এই রোগ প্রথম ধরা পড়ে মুম্বাইয়ে। তারপর ক্রমশ তার প্রকোপ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা এনিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। সমস্ত তথ্য পাঠানো হচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা ICMR-কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 1 =