করোনা সুযোগে ৫ হাজারি ওষুধ ২০,০০০ টাকায় বিক্রি! পর্দাফাঁস পুলিশের

কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে রাশিয়ার সেশেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের তরফে ক্লিনিকাল ট্রায়ালও সম্পূর্ণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠল মুম্বইয়ের কেমিস্টের বিরুদ্ধে। ৫,৪০০ টাকার দামের ওষুধ ২০,০০০ টাকায় বিক্রি করেছেন ওই কেমিস্ট। হাতেনাতে ধরা হয়েছে অভিযুক্তসহ তাঁর দোকানের কর্মীকে।

814eab546004c52deb573b757166ccdc

মুম্বই: কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে রাশিয়ার সেশেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের তরফে ক্লিনিকাল ট্রায়ালও সম্পূর্ণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠল মুম্বইয়ের কেমিস্টের বিরুদ্ধে। ৫,৪০০ টাকার দামের ওষুধ ২০,০০০ টাকায় বিক্রি করেছেন ওই কেমিস্ট। হাতেনাতে ধরা হয়েছে অভিযুক্তসহ তাঁর দোকানের কর্মীকে।

করোনার প্রতিষেধক বাজারে না আসা পর্যন্ত কখনও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কখনও আবার রেমডেসিভির ড্রাগের শরণাপন্ন হয়েছেন চিকিৎসকরা। বহু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রিন সিগন্যাল’ও দিয়েছে এই ড্রাগের বিষয়ে। এমনকী, ভারতে রেডেসিভির ওষুধ তৈরির লাইসেন্স পেয়েছে দেওয়া হয়েছে সিপলা, হেটেরো ল্যাব ও জুবিল্যান্ট লাইফসায়েন্সেস ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাদের ওষুধের বাজারমূল্যও একপ্রকার নির্ধারিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনিভাবে চার গুণ দামে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠল কেমিস্টের বিরুদ্ধে।

সাধারণ ক্রেতা সেজে মুম্বইয়ের একটি মেডিক্যাল স্টোরে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সেখানে ৫,৪০০ টাকার ওষুধের দাম ২০,০০০ টাকা বললে দোকানদারকে হাতেনাতে ধরেন পুলিশকর্মীরা। এই ঘটনার পর সোনু দর্শি এবং তাঁর দোকানের কর্মী রডরিকস রাউলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা অনুসারে মামলা রুজু করে হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই ঘটনায় হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টোরের দু’জন কর্মীর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করছি আমরা।’ মুম্বই ছাড়াও দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে রেমডেসিভির ওষুধ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এর আগে পুলিশের কাছে এসেছিল।

করোনা মোকাবিলায় রেমডেসিভির কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও সম্প্রতি শিকাগো ইউনিভার্সিটির চিকিৎসক ক্যাথলিন মুলানে ওই ড্রাগটিকে কার্যকরী বলেই ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘স্বস্তির খবর হল হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কোভিড ১৯ সংক্রমিত রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল রেমডেসিভির। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *