শিলং: কংগ্রেস ছেড়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা৷ শুধু সাংমাই নন৷ তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের ১৬ বিরোধী বিধায়কের মধ্যে ১২ জন৷ যার ফলে মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল এখন তৃণমূল৷ কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন সাংমা? কী কারণ ছিল এই দলবদলের? সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তিনি। ব্যাখ্যা করলেন কংগ্রেস ছেড়ে মমতার হাত ধরার কারণ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল সাংমা জানান, বিরোধী হিসেবে যা কাজ করার ছিল সেই কাজ করে উঠতে পারছিলেন না তারা। অর্থাৎ রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে ব্যর্থ কংগ্রেস। এমনকি দেশের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পারেনি হাত শিবির বলেও স্পষ্ট করেন তিনি। সেই কারণেই মানুষের সেবা করার ইচ্ছেতেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন তারা বলেন জানান সাংমা। উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুকুল সাংমা। বর্তমানে তিনি ছিলেন উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ইস্ট গারো হিলসের দাপুটে নেতা মুকুল দল ছাড়ায় মেঘালয়ে কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল৷ কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৮ থেকে কমে দাঁড়াল ৬৷
বেশ কিছু দিন ধরেই মেঘালয়ের মুকুল ছিলেন বেসুরো৷ জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে তাঁকে এড়িয়ে লোকসভার সাংসদ ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করে হাইকমান্ড৷ যিনি আবার সাংমার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত৷ এর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ রাখতে শুরু করেন মুকুল। এর মাঝেই কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুকুল সাংমা। তখনই দলবদলের জল্পনা দানা বাঁধছিল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মেঘালয়ে ক্ষমতায় রয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।