নয়াদিল্লি: বিহারের রাস্তাতেই হাঁটল তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন যে করোনা ভাইরাসের কোনও একটি টিকা পাওয়া মাত্রই তাঁরা নিজেদের রাজ্যে তা বিনামূল্যে সরবরাহ করবে।
টুইটারে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান লিখেছেন, “ভারতে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রস্তুতের কাজ দ্রুত চলছে। ভ্যাকসিন প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি মধ্যপ্রদেশের প্রতিটি নাগরিককে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।” চৌহানের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এদাপ্পাদি কে পলান্নস্বামী ঘোষণা করেন যে তাঁর রাজ্যেও বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে। ভারতীয় জনতা পার্টির জোটসঙ্গী অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগমের (এআইএডিএমকে) নেতা পলানিসস্বামীও ঘোষণা করেন, “একবার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে গেলে, রাজ্যবাসীকে তা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিহার নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ টিকা বিপুল পরিমাণে উৎপাদন শুরু হলেই, বিহারের প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে তা দেওয়া হবে৷ এটাই আমাদের ইস্তেহারে উল্লিখিত প্রথম প্রতিশ্রুতি৷’’ এই প্রথম কোনও টিকা, যা নিয়ে এখনও কাজ চলছে, তা জায়গা পেল নির্বাচনী ইস্তেহারে৷ বিজেপি’র ইস্তেহার প্রকাশের পরই ময়দানে নামেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘কী ভাবে দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সবে মাত্র সেই কৌশল ঘোষণা করেছে সরকার৷ দয়া করে রাজ্য ভিত্তিক নির্বাচনের সময়সূচি উল্লেখ করে দিন, যাতে বোঝা যায়, কোন রাজ্য কবে বিনামূল্যে টিকা পেতে চলেছে৷ সবটাই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি৷’’
বিজেপি’কে একহাত নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও৷ তিনি বলেন, ‘‘অ-বিজেপি রাজ্যগুলির কী হবে? যে সকল রাজ্য বিজেপি’কে ভোট দেবে না, তারা কি বিনামূল্যে টিকা পাবে না?’’ এই বিষয়ে বিহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবেকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সারা বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা তৈরির কাজ চলছে৷ একবার টিকা তৈরি হয়ে গেলেই তা বিতরণের বিষয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে৷ প্রতিটি রাজ্যই বিনামূল্যে টিকা পাবে৷’’ তবে তাঁর এই মন্তব্যে বরফ গলেনি৷ টুইট করে কংগ্রেস সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর বলেন, ‘‘আপনি আমাকে ভোট দিন, আমি আপনাকে ভ্যাকসিন দেব… কী ভয়াবহ বিষয়!’’