১০৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ছেলেকে পরীক্ষা কেন্দ্র পৌঁছাল বাবা

১০৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ছেলেকে পরীক্ষা কেন্দ্র পৌঁছাল বাবা

 

ভোপাল: দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে আনলক পর্ব শুরু হলেও, এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি৷ সম্পূর্ণ ভাবে সক্রিয় হয়নি পরিবহণ ব্যবস্থা৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেই ১০৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ছেলেকে মাধ্যমিকের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেওয়াতে নিয়ে গেল মধ্যপ্রদেশের এক পিতা৷ কোনও কিছুর পরোয়া না করে ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি৷ 

 

আরও পড়ুন- ফেসবুক বিতর্ক শশী থারুরের বিরুদ্ধে নোটিশ বিজেপি সাংসদের

 

বছর ৩৮ এর শোভরাম নিজে নিরক্ষর হলেও, পড়াশোনার গুরুত্ব বোঝেন তিনি৷ তাই তিনি চাননি সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা না দিয়ে একটা বছর নষ্ট হোক ছেলের৷ কিন্তু পরিস্থিতি ছিল প্রতিকূল৷ পীরক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার মতো কোনও ব্যবস্থা ছিল না৷ চলছে না গাড়িঘোড়া৷ টাকাপয়সাও নেই তেমন৷

কিন্তু তা বলে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তো আর ছিনিমিনি খেলা যায় না? তাই ঠিক করলেন সাইকেলে চাপিয়েই ছেলেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন তিনি৷ মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার বেইদিপুর থেকে শুরু হয় তাঁর যাত্রা৷ ১০৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে অবশেষে ছেলে আশীষকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন শোভরাম৷ যাতে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ‘রুক জানা নেহি’ প্রকল্পে দশমের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে পারে সে৷ 

আরও পড়ুন- ৩ টাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিট বেড়ে ৫০, করোনা-কালে তুঙ্গে বিতর্ক

 

শোভরাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যে সকল ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিকের প্রতিটি বিষয়ে পাশ করতে পারেনি, তাদের ওই বিষয়ে আরও একবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে  যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন৷ চলছে না বাস-ট্রেন৷ কিন্তু পরীক্ষার এই সুযোগ হাতছাড়া করলে, আমার ছেলের একটা বছর নষ্ট হয়ে যেত৷ তাই ঠিক করি সাইকেলে করেই ছেলেকে পরীক্ষা দেওয়াতে নিয়ে যাব৷’’

তিনি আরও জানান, তাঁদের কাছে টাকা-পয়সা ছিল না৷ কেউ সাহায্য করতেও এগিয়ে আসেনি৷ দু’তিন দিনের খাবার সঙ্গে নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তাঁরা৷ শোভবাম বলেন, সোমবার রওনা দিই আমরা৷ রাতে মানওয়ার শহরকে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছই৷ পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি ১৫ বছরের আশীষও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × five =