বাবা মোটর মেকানিক, বৃত্তি নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দশমে টপার ছেলে

বাবা মোটর মেকানিক, বৃত্তি নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দশমে টপার ছেলে

লখনউ:  অদম্য ইচ্ছা শক্তি, কঠোর পরিশ্রম আর মেধা যখন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, তখন কঠিন বাস্তবের মাটিটাও যেন মসৃণ হয়ে ওঠে৷ আর এই কথাটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিল উত্তরপ্রদেশের ছেলে শাদাব৷ 

গরিব পরিবারের সন্তান শাদাব৷ তার বাবা সামান্য মোটর মেকানিক৷ এই কাজ করেই চলে তাঁদের সংসার৷ ফলে সংসারে অভাব-অনাটন লেগেই থাকে৷ এত প্রতিকূলতার মাঝেও ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি শাদাবের টান ছিল দুর্বার৷ চলার পথে বারবার আষ্টেপিষ্টে ধরেছে দারিদ্রতা৷ কিন্তু শাদাবকে থামানো যায়নি৷ ছেলের পড়াশোনার উপর সংসারের আঁচ লাগতে দেননি তার বাবাও৷ গরিবের সংসারে শাদাবই ছিল তাঁদের আশার আলো৷ 

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা শাদাব ২০১৯ সালে একটি মেধা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল৷ ওই পরীক্ষায় অসাধারণ সফল্যের পর কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ বৃত্তি পায় সে৷ এই পরীক্ষায় বৃত্তির মাধ্যমেই তার কাছে সুযোগ আসে আমেরিকায় পড়াশোনা করার৷ সেই সুযোগ হাতছাড়া হতে দেননি তারা বাবা৷ ছেলেকে আমেরিকায় পাঠান পড়াশোনা করতে৷ মার্কিন সরকারের তরফে ২০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কারও পেয়েছিল সে৷ 

এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন হাইস্কুলে ভর্তি হয় শাদাব। এই বছর দশম শ্রেণির পরীক্ষায় স্কুলের ৮০০ জন ছাত্রের মধ্যে প্রথম হয় সে৷ ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার গোটা পরিবার৷ তাঁর পরিবারের কথায়, বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে শাদাব। ছেলেকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে উঠেছে মেকানিক বাবার৷ ২৫ বছর ধরে মোটর মেকানিকের কাজ করা শাদাবের বাবার চোখেও আজ আশার আলো৷  শাদাবের বাবা চান তাঁর ছেলে জীবনে আরও এগিয়ে যাক। তাঁর স্বপ্ন ছেলে যেন বড় হয়ে একজন সফল আইএএস অফিসার হতে পারে৷ ছেলেকে আইএস অফিসারের পদেই দেখতে চান তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − seven =