মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের খবরে ছেলের শুভেচ্ছা ভাইরাল, ফেসবুকে কী লিখলেন যুবক?

আজ বিকেল: মায়ের সুখটাই তাঁর কাছে বড়, কে কি বলল তাতে বয়েই গেল। তাইতো সবাইকে তোয়াক্কা না করেই দ্বিতীয় বিয়ের জন্য মাকে খোলাখুলি শুভেচ্ছা জানালেন যুবক। অভিনব ঘটনাটি কেরলের কোল্লাম জেলার। ওই যুবকের নাম গোকুল শ্রীধর। তিনি ফেসবুকেই মাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান। ইতিমধ্যেই সেই পোস্ট শেয়ারের দৌলতে ভাইরাল হয়েছে। কোল্লামের বাসিন্দা গোকুল সিপিএম-এর ছাত্র

মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের খবরে ছেলের শুভেচ্ছা ভাইরাল, ফেসবুকে কী লিখলেন যুবক?

আজ বিকেল: মায়ের সুখটাই তাঁর কাছে বড়, কে কি বলল তাতে বয়েই গেল। তাইতো সবাইকে তোয়াক্কা না করেই দ্বিতীয় বিয়ের জন্য মাকে খোলাখুলি শুভেচ্ছা জানালেন যুবক। অভিনব ঘটনাটি কেরলের কোল্লাম জেলার। ওই যুবকের নাম গোকুল শ্রীধর। তিনি ফেসবুকেই মাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান। ইতিমধ্যেই সেই পোস্ট শেয়ারের দৌলতে ভাইরাল হয়েছে। কোল্লামের বাসিন্দা গোকুল সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কর্মী, অনন্ত তাঁর ফেসবুক পেজের তথ্য থেকে এটাই স্পষ্ট। মঙ্গলবার সেখানেই মায়ের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর ছবি পোস্ট করেছেন ওই যুবক।

তারপর নিজেই লেখেন, এই ছবি পোস্ট করা নিয়ে খানিকটা ইতস্ততও বোধ করছিলেন তিনি। তারপর খোলাখুলি জানান। ‘আমার মায়ের বিয়ে ছিল। কিছু লেখা ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কারণ এখনও বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা দ্বিতীয়  বিয়ে ঠিক মেনে নিতে পারেন না। তাই অনুরোধ করছি,  মনে সন্দেহ,  ঘৃণা বা করুণা থাকলে,  এই পোস্ট দেখবেন না।’’

দিনের পর দিন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলেও, শুধুমাত্র তাঁর জন্যই মা মুখ বুজে সব সহ্য করতেন বলে জানান গোকুল। এর জন্য আজও অপরাধ বোধে ভোগেন বলে খোলাখুলি স্বীকারও করে নেন। তিনি  জানান, ‘আমার জন্যই কখনও নিজের পরোয়া করেননি এই মহিলা। সর্বনাশা ওই বিয়েতে কম নির্যাতন সইতে হয়নি তাঁকে। মার খেয়ে কপাল ফেটে রক্ত ঝরত। তা সত্ত্বেও মুখ বুজে সব সহ্য করে নিতেন। এক বার জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন সব সহ্য করতে?  উত্তরটা এখনও কানে বাজে। মা বলেছিল, আমার জন্যই বেঁচে থাকা। তাই সবকিছু সইতে রাজি।’

এদিন মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ছবি দিয়ে মনে হল বেশ শান্তি পেয়েছেন ওই যুবক। তাঁর লেখায় পাওয়া গেল তৃপ্তির ছোঁয়া।  ‘যে দিন মায়ের হাত ধরে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম, তখনই আজকের দিনটার কথা ভেবে নিয়েছিলাম। আমার মায়েরও কিছু স্বপ্ন ছিল, অনেক কিছু জয় করার ছিল, কিন্তু আমাক জন্য সব বিসর্জন দেয় মা। মায়ের আত্মত্যাগ বলে বোঝানো যাবে না। তবে মনে হল এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটা লুকিয়ে রাখা উচিত হবে না। বিবাহিত জীবনে সুখী হও মা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − eleven =