নয়াদিল্লি: পরিকল্পনা ছিল আগে থেকেই, এবার তার বাস্তবায়নও হল সফল ভাবেই। দেশের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ। আর অবশ্যই সঙ্গে রইল তেরঙা।
মঙ্গলবার সকালে প্রজাতন্ত্র দিবসের পুণ্য লগ্নে গাছ লাগিয়ে এবং ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে অযোধ্যায় একই সঙ্গে রাম মন্দির এবং মসজিদ নির্মাণের ঐতিহাসিক রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই রায় অনুযায়ী এদিন শুরু হয়েছে মসজিদ নির্মাণের কাজ। অযোধ্যার ধান্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমিতে তৈরি হবে মসজিদ। ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (IICF) নাম সংস্থা এই মসজিদ নির্মাণের বরাত পেয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮:১৫ নাগাদ সংস্থার সদস্যরা নির্দিষ্ট স্থানে এসে উপস্থিত হন। তারপরেই আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় মসজিদ নির্মাণের। সূত্রের খবর, অযোধ্যার এই মসজিদ রাম মন্দির থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করবে। মসজিদ নির্মাণকার্যের আনুষ্ঠানিক সূচনা উপলক্ষ্যে এদিন সকাল ৮:৪৫ নাগাদ ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান জাফর আহমেদ ফারুকী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর সংস্থার উপস্থিত বাকি ১২ জন সদস্য প্রত্যেকে একটি করে বৃক্ষ রোপণ করেন। তাঁদের এই কর্মসূচী প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলেরই।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে জাফর আহমেদ ফারুকী জানান, “আপাতত আমরা এলাকার মাটি পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছি। তাই বলা যায়, মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। এই জমি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে এবং আমাদের ম্যাপ অনুমতি লাভ করলে আমরা নির্মাণকার্য শুরু করে দেবো।” অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে ডোনেশনের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছে নির্মাণকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে মানুষ দান কার্যে এগিয়েও এসেছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান জাফর আহমেদ ফারুকী। উল্লেখ্য, অযোধ্যার এই ঐতিহাসিক মসজিদের নাম এখনও ঠিক করা হয় নি। তবে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন আগেই জানিয়েছিল কোনোরকম রাজা মহারাজার নামে এর নামকরণ করা হবে না। মন্দির চত্বরে একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবেও বলেও জানা গেছে সূত্রের খবরে।