পটনা: বিহারের এক বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে করোনা পজিটিভ বহু মানুষ। এরপর বিয়ের বরের শেষকৃত্যে যোগদান করতে গিয়েও আক্রান্ত আরও কয়েকজন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। জানা গেছে করোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই বিয়ে করতে বসেন পাত্র। আধিকারিকরা জানিয়েছেন করোনার উপসর্গ নিয়েই ১৫ জুন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ২৬ বছরের পাত্র। দু’দিনের মাথায় মৃত্যু হয় তাঁর।
পটনার চিফ মেডিক্যাল অফিসার রাজকিশোর চৌধুরী জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত বিয়ে নিমন্ত্রিত কিংবা শ্মশানযাত্রীদের মধ্যে ১১১জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। বাকী সকলকেও চিহ্নিত করে আলাদা করা হয়েছে। চিতিৎসকরা নিশ্চিত নন যে ওই নাম না জানা পাত্রটি সংক্রমণের উৎস কিনা, কারণ করোনা টেস্টের আগেই তাঁকে দাহ করে দেওয়া হয়। সংক্রমণের ধারা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চারশ জন ওই বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন তাদের আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। জানিয়েছেন রাজকিশোর চৌধুরী।
পাত্র গুরুগ্রামে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করত এবং বিয়ের এক সপ্তাহ আগে সে বাড়িতে ফেরে। বিয়ের আগেই তার করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে। তাকে অল্প সময়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়, কিন্তু পরিবাোরের লোকেরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয় প্রায় তিনশর ওপর লোক নিমন্ত্রণ করে। বিয়ের দুদিন পরেই মারা যায় সে। দুশ জন লোক তার শেষকৃত্যে যায়, এর মধ্যে অনেকেই তার বিয়েতেও উপস্থিত ছিল। পাত্রের কোনও আত্মীয় এমনকি পাত্রীরও টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি।
কর্তৃপক্ষের তরফে তদন্তেপ ব্যবস্থা করা হয়েছে কারণ বিয়েোতে এবং শেষকৃত্যে এত লোকের উপস্থিতি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা সম্ভব হয়নি বলে। নিয়ম অনুযায়ী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ৫০ জনের বেশী বিয়ের অতিথি এবং ২০জনের বেশি শেষকৃত্যে উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হয়নি। দেশ জুড়ে সংক্রমণ প্রা ৬ লক্ষের বেশী মানুষের দেহে। এখনও পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিহারেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার, মারা গেছেন ৬২জন। বিশেষজ্ঞদের মতে টেস্টের অপ্রতুলতায় আসল সংখ্যা সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। সরকারী রিপোর্টের চেয়ে আসল সংখ্যা অনেক বেশী বলেই মনে করেন তাঁরা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীও দেশবাসীকে সচেতনতার বিষয়ে সতর্ক করেছেন তাঁর বক্তব্যে।