নয়াদিল্লি: কোটিপতি হতে কে না চায়৷ কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন সঠিক খাতে বিনিয়োগ৷ তার উপর এখন বহুলাংশে কমে গিয়েছে সুদের হার৷ তাই স্বপ্ন পূরণের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে বুঝেশুনে৷ যাঁরা সদ্য উপর্জন করতে শুরু করেছেন এবং এখনই মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন না, তাঁরা মাসে মাসে বিনিয়োগ করা শুরু করতে পারেন৷ যাঁরা নিয়মিত বিনিয়োগ করবেন তাঁরা ২০ বছরের মধ্যে সহজেই কোটিপতি হতে পারবেন৷ এর জন্য মাসে বিনিয়োগ করতে হবে ১০ হাজার টাকা৷
মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ১ কোটি টাকা সঞ্চয় করতে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS) এবং মিউচুয়াল ফান্ডে কত সময় লাগবে তা দেখে নেওয়া যাক৷
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)- এটি একটি জনপ্রিয় দীর্ঘমেয়াদী সেভিংস পরিকল্পনা৷ এতে বিনিয়োগের কোনও ঝুঁকি নেই। পিপিএফ মূলত একটি অবসর পরিকল্পনা। আয়করের পুরোনো নিয়ম অনুযায়ী, ৮০ সি ধারা অনুযায়ী পিপিএফ সেভিংয়ে রয়েছে কর ছাড়ও। ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে খোলা যেতে পারে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট৷ বর্তমানে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে পিপিএফ৷ এই পরিকল্পনায় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ২৮ বছর বাদে কোটিপতি হয়ে যাবেন আপনি৷ হাতে পাবেন ১.০৫৪ কোটি টাকা৷ মোট টাকার ৭২ শতাংশই আসবে সুদ থেকে৷ এর জন্য ২৮ বছরে আপনাকে দিতে হবে ৩৩.৬০ লক্ষ টাকা৷
ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্প (NPS)- অবসর প্রকল্প হিসাবে বেশ জনপ্রিয় এনপিএস৷ ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্প বা এনপিএস-এর সূচনা করে। আগে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতেন শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবীরা৷ পরে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য পেনশনের বন্দোবস্ত করতে ২০০৯ সাল থেকে এই সুবিধা সকলের জন্য চালু করা হয়েছে৷ আগে ১৮ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত এনপিএস প্রকল্পে যোগ দেওয়া যেত। তবে নতুন ব্যবস্থায় ৬০-এর পরেও প্রকল্পে ফের নতুন করে যোগ দেওয়া যাবে। গত ১০ বছরে ১০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে এনপিএস৷ এই প্রকল্পে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা জমা করলে ২৩ বছর পর মিলবে ১ কোটি টাকা৷
মিউচুয়াল ফান্ড (MF) – চটজলদি সম্পত্তি বাড়াতে হলে বিনিয়োগ করুন ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে৷ মিউচুয়াল ফান্ডের নাম শুনলে অনেকেই পিছিয়ে আসেন৷ এতে কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে৷ তবে এখন অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে পুঁজি ঢালছেন৷ দীর্ঘ মেয়াদে আকর্ষনীয় রিটার্ন মেলে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে৷ মিউচুয়াল ফান্ডের পারফরম্যান্স নির্ভর করে শেয়ার বাজারের ওঠানামা, সুদের গতিপ্রকৃতি-সহ বিভিন্ন কারণের উপর। ধরা যাক, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার বা CAGR যদি ১২% থাকে, তবে মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগে ২০ বছরেই কোটিপতি হওয়ার সুযোগ থাকবে আপনার কাছে।