লখনউ: রামমন্দিরের ভূমি পুজোর পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত উপস্থিত অতিথিদের সামনে ভাষণ দেন৷ এদিন তিনি বলেন, আমরা একটা সংকল্প নিয়েছিলাম৷ আজ সেই সংকল্পপূর্তির মহেন্দ্রক্ষণ৷ আমরা সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে৷ বহু মানুষ বলিদান দিয়েছে৷ আজ তাঁদের সেই আত্মত্যাগ ফসল হল৷
আরও পড়ুন- 'রাম সবার', মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন আচমকাই সুর বদলে টুইট প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
সঙ্ঘ প্রধানের কথায়, রামমন্দির আন্দোলনের ধ্বজাধারীরা আজ সকলে এখানে উপস্থিত হতে পারেননি৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিপুজোর সাক্ষী থাকলেন লালকৃষ্ণ আডবানী৷ তবে আজ দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে৷ সারা দেশ খুশির জোয়ারে ভাসছে৷ কিন্তু সবচেয়ে বড় আনন্দ হল ভারতকে আত্মনির্ভর বানানোর জন্য যে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল আজ তার শুভারম্ভ হল৷
তিনি বলেন, এই আনন্দের মধ্যে একটা উৎসাহ রয়েছে, যে আমরাও করতে পারি৷ সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার যে বিধি রয়েছে, তার অধিষ্ঠান আজ এখানে হচ্ছে৷ সবার কল্যাণকারী দেশ ভারতের নির্মাণের শুভারম্ভ যাঁর হাতে হয়েছে, তাঁর হাতেই এই মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হল৷ এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের৷ যাঁরা আজ উপস্থিত হতে পারেননি, আমি নিশ্চিত দূরে থেকেও তাঁরাও এই আনন্দ উপভোগ করছেন৷
আরও পড়ন- ২৯ বছর পর ভূমি পূজনে অযোধ্যায় ফিরলেন নমো
করোনা সংক্রমণের জেরে সারা বিশ্ব ঘর বন্দি৷ কোথা থেকে শুরু করা যায়, তার চিন্তা করছে৷ কী ভাবে পথ খুঁজে পাওয়া যায় তা ভাবছে৷ পথ আছে৷ আমরা সে পথ দেখাব৷ এখানে রাম মন্দির শুরু হবে৷ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সব দায়িত্ব বণ্টন হয়ে গিয়েছে৷ এই সময় আমাদের কাজ হবে আমাদের মনের অযোধ্যাকে সাজিয়ে তোলা৷ সবাইকে নিজের মনে করা ধর্ম, সবার উন্নতি সাধনকরা এই ধর্মের ধ্বজা কাঁধে নিয়ে সম্পূর্ণ বিশ্বকে সুখ শান্তি দেওয়া ভারত যাতে আমরা গড়ে তুলতে পারি, তার জন্যই আমাদের নিজেদের মনের অযোধ্যা তৈরি করতে হবে৷ এখানে যেমন মন্দির তৈরি হতে থাকবে, সেভাবে মনের অযোধ্যাকেও তৈরি করে যেতে হবে৷ এই মন্দির তৈরির আগেই আমাদের মন মন্দির যেন তৈরি থাকে৷ আমাদের হৃদয়ে রামের বাস হতে হবে৷