নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বিজেপির জনমোহিনী রূপ প্রকাশ্যে এল। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস নামের একটি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭-১৮ সালে দেশের সব থেকে বেশি রাজনৈতিক চাঁদা পেয়েছে বিজেপি। এই অনুদানের পরিমাণ প্রায় মোট চাঁদার ৯৩ শতাংশ। রিপোর্ট বলছে দেশেব সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত মোট অনুদানের অর্থ হল ৪৭০ কোটি টাকা। যার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ৪৩৭ কোটি টাকা। গত বছর মোট অনুদান ৫৭০ কোটির উপরে ছিল, এবারের প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী একটু হলেও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা কমেছে, তাই অনুদানের পরিমাণও এক লাফে প্রায় ১কোটি কমে গিয়েছে।
এদিকে চাঁদা সংগ্রহকারীর তালিকায় বিজেপির পরেই রয়েছে কংগর্সে, তবে টাকার অঙ্কের নিরিখে অনেকখানি পিছিয়ে। ২০১৭-১৮-তে কংগ্রেসের প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ প্রায় ২৭ কোটি টাকা। বাকি ছ কোটি টাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি পেয়েছে। এরমধ্যে ২০ লক্ষ টাকা অনুদান গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। সব থেকে কম অনুদানের তালিকায় রয়েছে বহুজন সমাজ পার্টি, মায়াবতীর দল ২০১৭-১৮-তে মাত্র দু লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছে। এই অনুদানের তালিকা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, বিজেপি অনুদানের দৌড়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে। তবে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পরেই ছবিটা বদলেছে এমন নয়, বিরোধী দল থাকাকালীন সময়েই অনুদানের নিরিখে এক নম্বর ছিল বিজেপি।
এদিকে এহেন রিপোর্ট সামনে আসার পরে ফের তর্জায় নেমেছে দুই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে,দেশে মানুষ তাদের ভরসা করে। তাই স্বেচ্ছায় মোটা টাকা অনুদান দেয়। অন্যদিকে কংগ্রেসের দাবি, দেশের ধনী ব্যক্তিদের আয়করে ছাড়-সহ নানারকম সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই তারাও পাল্টা হিসেবে সরকারের রাজনৈতিক কোষাগার ভরে দিচ্ছে কোটি কোটি টাকায এর থেকে স্পষ্ঠ বিজেপি ধনী ভারতীয়দের সরকার, আর গরীব গুর্বোরা এখনও জাতীয় কংগ্রেসকেই ভালবাসে।তাই তো সমর্থকদের ক্ষুদ্র দানেই রাজনৈতিক সঞ্চয় করছে দল।
মজার বিষয় হল রাজনৈতিক দলের তহবিল ভরাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলি।৪২২ কোটি টাকা এসব সংস্থা থেকেই এসেছে। বাকি ৪৮ কোটি টাকা ব্যক্তিগত অনুদান থেকে প্রাপ্ত।