নয়াদিল্লি: মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মোড়া৷ এবার সেই সুরক্ষা বলয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বিমানেও রাখা হচ্ছে৷ শোনা যাচ্ছে, কার্যত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ছোট সংস্করণ উঠে আসবে বিমানের মধ্যে৷ আকাশ থেকে দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তে যোগাযোগের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে মোদির বিমানে৷ যা রীতিমতো পাল্লা দিতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমানকেও৷
প্রধানমন্ত্রীর জন্য আকাশ পথে এত বাড়তি নিরাপত্তা হয়ত জরুরি৷ তবে অনেক প্রশ্ন তুলছেন, আর্থিক মন্দায় থাকা দেশের পক্ষে এখনই এই বিপুল খরচ সত্যিই কি প্রয়োজন ছিল? জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য একজোড়া বিশেষ বিমান আপাতত তৈরি হচ্ছে মার্কিন বিমান নির্মাতা সংস্থার কারখানায়৷ তা দিল্লির হাতে আসার কথা ২০১৯ সালের জুন-জুলাই নাগাদ বোয়িং-৭৭৭ বিমানে থাকবে এসপিএস প্রযুক্তি৷ যা আকাশে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র হানা থেকে সুরক্ষা দেবে বিমানকে৷
একমাত্র ভারত প্রথম দেশ যাকে এই প্রযুক্তি বিক্রি করতে রাজি হয়েছে আমেরিকা৷ মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া সেদেশের প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তি হয়েছে ১৯ কোটি ডলারের৷ বিশেষ এই বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে৷
এতদিন বিদেশে দূরপাল্লার সফরে ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান বোয়িং৭৪৭-৪০০ বিমানে পাড়ি দিতেন তিন ভিআইপি, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি৷ শোনা যাচ্ছে, নতুন বিমানের ককপিটে থাকবেন বিমানবাহিনীর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত পাইলট৷ আর বিমানবাহিনী এই বিমানের পুরো দায়িত্ব নেবে৷ এই বিমানের নাম বদলে রাখা হতে পারে এয়ারফোর্স ওয়ান৷ ঠিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের মত৷
এই মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিদেশ সফরের সময় যে বিমান ব্যবহার করেন তাতে অত্যাধুনিক সুরক্ষা বলয় রয়েছে৷ ঠিক সেই রকম একটি বিমানে সওয়ার হতে পারেন নরেন্দ্র মোদি৷ ভারতের নতুন দু’টি ভিআইপি বিমান নির্মাণের খরচ কেমন হতে পারে তা এখনও অজানা৷ রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর জীবনের সামান্যতম ঝুঁকি অবশ্য বরদাশ্ত করার মতো নয়৷ কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রপতির মতো বিমান নির্মাণে বিপুল খরচ দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ভারতের নতুন বিমানে ভিআইপি সফরের খরচা আগের থেকে অনেক বেড়ে যাবে না তো? বিশেষত যেখানে কিছুদিন আগেই তথ্য জানার অধিকার আইনে জানানো হয়েছে, ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে কেন্দ্রের প্রায় ১১৪৬ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে৷ এরপরেও কীভাবে এত বিলাসিতা? উঠছে প্রশ্ন৷