ফুড এক্সপোর্টে সহায়ক হতে পারে মোদীর কৃষিবিল! উঠছে বিতর্ক

নয়াদিল্লি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে বিতর্কিত পদক্ষেপগুলি নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হল কৃষিবিল। কিন্তু এর সুফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে। গত মাসে একটি অধিবেশনে সংসদ তিনটি আইন পাস করেছে যা অনেকের মতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাণিজ্যকে ধরে রাখতে ভারতের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। আবার কারও মতে এটি কয়েক মিলিয়ন কৃষকের জীবিকা নষ্ট করবে। এই বিল পাশের কয়েক দিন পরই কৃষক ও বিরোধী নেতারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

 

নয়াদিল্লি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে বিতর্কিত পদক্ষেপগুলি নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হল কৃষিবিল। কিন্তু এর সুফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে। গত মাসে একটি অধিবেশনে সংসদ তিনটি আইন পাস করেছে যা অনেকের মতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাণিজ্যকে ধরে রাখতে ভারতের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। আবার কারও মতে এটি কয়েক মিলিয়ন কৃষকের জীবিকা নষ্ট করবে। এই বিল পাশের কয়েক দিন পরই কৃষক ও বিরোধী নেতারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
 

কৃষি সেবা সংস্থা ন্যাশনাল কোলেটারাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং এক্সিকিউটিভ অফিসার সিরাজ চৌধুরী বলেন, “আমাদের কৃষিক্ষেত্রের পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে অবকাঠামোতে প্রযুক্তি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের প্রয়োজন। এছাড়া বৈশ্বিক বাজারে আরও ভাল প্রতিযোগিতার জন্য এটি দরকার।” তিনি এও বলেন এটি একটি বৃহৎ এবং দুর্বল অংশকে এগোতে সাহায্য করবে। সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এনআইটিআই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ কান্ত বলেন, ভারত তার খাদ্য উৎপাদনের দশ শতাংশেরও কম প্রোডাকশন করতে সক্ষম। অপর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজের কারণে ভারত এক বছরে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন টাকা (১২.৩ বিলিয়ন ডলার) হারাচ্ছে।
 

মোদীর বিতর্কিত কয়েকটি পদক্ষেপের দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে রয়েছে উচ্চমূল্যের নগদ নোটগুলি নিষিদ্ধকরণ, স্বাধীনতার পর থেকে বৃহত্তম ট্যাক্স সংস্কার এবং করোনা ভাইরাস লকডাউন। তুলনায় কৃষি বিল সংক্রান্ত বিষয়টি অনেকটাই হালকা বলে মনে করছেন অনেকে। এই বিল পাশের পর বিরোধী আট জন সংসদ সদস্যকে অভব্য আচরণের জন্য বরখাস্ত করা হয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য নতুন বিলটি যখন পাস করা হয়েছিল তখন কৃষক এবং রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠীগুলি পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং মধ্য প্রদেশের মতো শস্য উৎপাদনকারী রাজ্যে বিক্ষোভ করেছিল। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির দীর্ঘমেয়াদী সমর্থক শিরোমণি আকালি দল সরকার ত্যাগ করে।
 

এই দল খুব কমই মোদীর জোটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তাদের তরফে বলা হয়েছে যে কৃষকদের আশঙ্কা এই পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত ফসলের জন্য সরকারের মূল্য সহায়তা ব্যবস্থা উঠে যাবে। তবে মোদী এবং তাঁর মন্ত্রীরা বলেছেন এই উদ্বেগ ভিত্তিহীন। ফসলের দাম সম্পর্কে গ্যারান্টি অব্যাহত থাকবে। এমনকি মোদী প্রশাসন শীতকালীন ফসলের জন্য কিছু ন্যূনতম দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্র ভারতের অর্থনীতির অন্যান্য সমস্ত খাতকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, শহরাঞ্চলের দারিদ্রের হার যেখানে ১৪% সেখানে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার প্রায় ২৫%। এই আন্ডারভেস্টমেন্ট খাদ্য সরবরাহকে দুর্বল করে তুলেছে। কোভিডের কারণে সেপ্টেম্বরে খাদ্যের ক্ষেত্রে ৯.৭%  মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। কৃষিক্ষেত্র সংস্কারের সমর্থকরা বলছেন যে এই পরিবর্তনগুলি ভবিষ্যতে সিস্টেমটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − three =