হলদিয়া: উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের খবর পেয়ে আসাম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ভোট পূর্ববর্তী বাংলার গুরুত্বকেও ছোটো করে দেখছেন না তিনি। তাই আসাম থেকে পরিকল্পনা মাফিক উড়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গে। তাঁর সভাকে ঘিরে এখন কার্যত জন জোয়ার হলদিয়ায়।
এদিন সভা মঞ্চে উঠে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ের কথা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলতে গিয়ে খানিক উদ্বিগ্নও শোনায় তাঁর গলা। তবে সরকার যে সর্বোতভাবে দেবভূমির পাশে আছে, হলদিয়ার জনসভা থেকে আরো একবার সেই বার্তাই দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বলেন, “এখন আমরা দাঁড়িয়ে আছি গঙ্গার এক পাড়ে। কিন্তু এই গঙ্গারই উৎসস্থল আজ বিপর্যস্ত। হিমবাহের চ্যুতির কারণে আজ উত্তরাখণ্ডে দেখা দিয়েছে ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আমি সেখানকার সরকার, প্রশাসন সকলের সঙ্গেই অনবরত যোগাযোগ রাখছি। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি উত্তরাখণ্ডে উদ্ধারকাজ চলছে।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো জানান, উত্তরাখণ্ডে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশের (ITBP) বাহিনী, রাজ্যে প্রশাসনের বাহিনী এই মুহূর্তে উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনার দলও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দু-চার দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। মানুষের হয়রানি যথাসম্ভব কম করার চেষ্টা করছে সরকার।”
উত্তরাখণ্ডের বহু মানুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে থাকেন, এদিন সে কথাও শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তাঁর কথায়, “উত্তরাখণ্ডে এমন একটাও পরিবার হয়তো পাওয়া যাবে না যার কোনো না কোনো সদস্য সেনাবাহিনীতে রয়েছে।” এহেনে রাজ্যের বিপর্যয় কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার প্রার্থনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছেই ধৌলিগঙ্গা নদী থেকে আচমকা দেখা দেয় বিপুল জলোচ্ছ্বাস। নদীতীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি এর ফলে ধ্বংস হয়ে যায় মুহূর্তেই। ইতিমধ্যে ১৫০ জনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩ জনের দেহ।