নয়াদিল্লি: মোদি শুধু মিথ্যে বলেন, আমি প্রশ্ন করতে শুরু করলেই পিছনের দিকে হাঁটতে থাকেন। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেপরেই ফের মোদিকে একহাত নিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।এদিন তিনি বলেন, শুধু কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাই নয় ডোকলাম নিয়েও নোংরা রাজনীতি করেছেন মোদি। ২০ বছর আগে যখন কান্দাহারে জঙ্গিরা ভারতীয বিমান ছিনতাই করল তখন এই পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পেতে তৎকালীন বিজেপি সরকার ভারতের জেলে বন্দি থাকা জঙ্গি মাসুদ আজহারকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিল।যিনি মাসুদ আজহারকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সেই অজিত দোভাল এখন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।দোভাল সেদিন যে গর্ত নিজের হাতে খুঁড়েছিলেন, আজ সেই গর্তেই সেনার সমাধি হচ্ছে।
একইভাবে ডোকলাম ইস্যুতেও মোদি নিজের রাজনীতির ঘর গুছিয়েছেন।ডোকলাম নিয়ে যখন নয়াদিল্লির সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে,তখনই চিন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। এবং কোনওরকম ঘোষণা ছাড়াই বৈঠকও করেন।সেউ বৈঠকে ডোকলামকে আটকে রাখার পরামর্শও দেন বেজিংকে।একই সঙ্গে আশ্বাস দিয়ে জানান, বিরোধীরা এনিয়ে খুব বেশিকিছু করতে পারবে না, মিডিয়াকে যা বলার দলের তরফে তা জানানো হবে। যখনই ভারত বিপদে পড়েছে তার পিছনে কোনও না কোনওভাবে বিজেপির সক্রিয় উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।সাম্প্রতিক পুলওয়ামার ঘটনাও ব্যতিক্রম নয়।
আসলে মোদি কখনওই সত্যি বলতে পারেন না।তাঁকে সংসদে প্রশ্ন করেছিলাম একটিরও জবাব দিতে পারেননি।নিজেই রাফাল দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।এখানেই শেষ নয়, তাঁকে আম্বানিদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নিশ্চুপ থাকেন অথচ ইন্দিরা রাজীব প্রসঙ্গে তাঁর ভাষণ শেষই হয় না।