বালেশ্বর: সাম্প্রতির অতীতে এত বড় রেল দুর্ঘটনা আমাদের দেশে ঘটেনি৷ বালেশ্বর উস্কে দিল গাইসলের স্মৃতি৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় ওডিশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস৷ শনিবার অকুস্থলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ব্যবধান প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা? দু’জনেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন৷ আহতদের সঙ্গে কথাও বললেন৷ কিন্তু সাক্ষাৎ হল না নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা হবে৷ দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে বাহানগা হাইস্কুল মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামে মমতার কপ্টার। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে পৌঁছন বাহানগা বাজার স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে সেই অভিশপ্ত জায়গায়৷ সেখানে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দু’জনের মধ্যে কথাও হয়৷ অশ্বিনীর পাশে দাঁড়িয়েই মমতা বলেন, ‘‘মনে হয় রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।’’
এর পর ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে সোরো হাসপাতালে পৌঁছন মমতা। কিন্তু তিনি পৌঁছনোর কিছু ক্ষণ আগেই সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন নবীন পট্টনায়েক। সোরো হাসপাতাল থেকে বাহানগা হাইস্কুল মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে মমতা যখন ফেরেন ঘড়িতে তখন সওয়া ২টো। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে নামে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিমান। ঘটনাচক্রে ধূর্ণিঝড় যশ আঘাত হানার পর এই কলাইকুণ্ডাতেই মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী-মমতা৷
শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কলকাতায় নামে মমতার কপ্টার। প্রায় একই সময় কলাইকুন্ডা থেকে বায়ুসেনার কপ্টারে বাহানগায় পৌঁছন মোদী৷ ফলে এদিন আর দু’জনের সাক্ষাৎ হয়নি৷