নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে দেশবাসীকে ৭টি কাজ করতে বলেছেন৷ কিন্তু সরকার করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেবে তা স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার বিবৃতি প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কটাক্ষ সিপিএমের পলিটব্যুরোর৷
বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২১ দিনের লকডাউনের জেরে অভুক্ত বহু মানুষ৷ কাজ নেই, আশ্রয়হীন পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ তাঁদের জন্য অবিলম্বে কিছু ব্যবস্থা করুক সরকার৷ আয় কর আওতার বাইরে থাকা পরিবারগুলি আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন৷ পরিবারপিছু নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা দেওয়া হোক বলেও দাবি তুলছে পলিটব্যুরো৷
বিবৃতিতে সিপিএমের পলিটব্যুরোর তরফে কর্মী ছাঁটাই রুখতে প্রধানমন্ত্রীর আবেদনকেও কটাক্ষ করেছে৷ জানানো হয়েছে, কর্মী ছাঁটাই রুখতে প্রধানমন্ত্রীর আর্জি যথেষ্ট নয়৷ প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ সহযোগিতা৷ যদি সংস্থাগুলির উপার্জন বন্ধ হয়ে, তাহলে তারা কীভাবে শ্রমিকদের বেতন দেবে? এই নিয়ে কেন চিন্তিত নয় সরকার?
মঙ্গববার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার পর সিপিএম বিধায়ক তনয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ শ্রমিক গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন৷ খাবার পাচ্ছেন না তাঁরা৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনার কোনও ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেননি৷ তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থান কী হবে? খাদ্যের ব্যবস্থা কী হবে? কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী৷ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের কথা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ যদিও তিনি একবার তাঁর ভাষণে বলেছেন, একদল মানুষ আছেন যাঁরা দিন আনা দিন খান, তাঁদের কথা ভাবছে সরকার৷ কিন্তু সরকার কী ভাবছে? সেটা তিনি এখনও স্পষ্ট করেননি৷
আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির জানান, লকডাউনের মেয়াদ আরও ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হবে৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিক পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবে সরকার৷ একই সঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি মালিকপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ জানিয়েছেন, তারা যেন কর্মচারীদের সঙ্গে সহনশীল হোন এবং এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের যেন বরখাস্ত করা না হয়৷ কিন্তু বরখাস্ত না করার বার্তা দেওয়া হলেও ছোট ছোট সংস্থাগুলিকে কোন আর্থিক অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেনি প্রধানমন্ত্রী৷ আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক৷