এবার অনলাইনে মিলবে ফুটপাতের খাবার! নয়া অনলাইন গড়ছে মোদী সরকার

মধ্য প্রদেশের ৩৭৮টি ছোট-বড় শহরের স্ট্রিট-ফুড ব্যবসায়ীদের একথা স্বনিধি যোজনায় জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি এক অনুষ্ঠানে ইন্দোর জেলার সনভের, গোয়ালিয়র শহর এবং রাইসেন জেলার সাঁচির ৩ জন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, মহামারীতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন দেশের দরীদ্র শ্রেণিই। তাই সেই সমস্ত মানুষদের সহায়তা করতে তৎপর কেন্দ্র।

 

নয়াদিল্লি: স্ট্রিট-ফুড কার না ভাললাগে! সে ফুচকাই হোক কিংবা রোল-মোমো ইত্যাদি মুখরোচক খাদ্য। কিন্তু লকডাউনের জেরে এই পথ-খাবারের ব্যবসা উঠেছে লাটে। মানুষ গৃহবন্দি অবস্থায় থেকে দীর্ঘ দিন এই সব লোভনীয় খাবারের থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন। কিন্তু আর চিন্তা নয়, এবার ঘরে বসেই বড় বড় রেস্তোরাঁ থেকে যেভাবে অনলাইনে ফরমায়েশ করে খাবার অর্ডার দেওয়া যায়, সেই ভাবেই এই সমস্ত পথ খাবারও পাওয়া যাবে। কেন্দ্র সরকার পথ-খাবার ব্যবসায়ীদের জন্যে একটি নয়া অ্যাপ বাজারে আনতে চলেছে। এর সাহায্যেই ক্রেতার পছন্দ মতো খাদ্য হোম-ডেলিভারির সুযোগ পাবেন পথ-খাবারের একাধিক গরীব ব্যবসায়ীরা।

মধ্য প্রদেশের ৩৭৮টি ছোট-বড় শহরের স্ট্রিট-ফুড ব্যবসায়ীদের একথা স্বনিধি যোজনায় জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি এক অনুষ্ঠানে ইন্দোর জেলার সনভের, গোয়ালিয়র শহর এবং রাইসেন জেলার সাঁচির ৩ জন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, মহামারীতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন দেশের দরীদ্র শ্রেণিই। তাই সেই সমস্ত মানুষদের সহায়তা করতে তৎপর কেন্দ্র। একাধিক প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার। অন্যদিকে আবার কিছু দিন আগেই উক্ত ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

নরেন্দ্র মোদী'র কথায়, যে সমস্ত মানুষ প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনায় নিজ নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের সমস্ত প্রাথমিক সুবিধা দেবে কেন্দ্র। স্ট্রিট-ফুড ব্যবসায়ীদের উন্নতির স্বার্থে এই সমস্ত প্রকল্প দ্রুত চালু করতে চাইছেন নমো। পাশাপাশি ওই সমস্ত ভোক্তারা উজ্জবলা, আয়ুষ্মান ভারত, আবাসন-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।

প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা স্ট্রিট-ফুড ব্যবসায়ীদের নতুন পরিচিতি ও সুযোগ দেবে, পাশাপাশি তাদের ব্যবসার বিকাশ ঘটাবে, এমনটাই নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আওতাধীন ভোক্তারা ব্যাঙ্ক থেকে প্রাথমিক ভাবে হজ কিস্তিতে  ১০ হাজার টাকার ঋণ পাবেন। ভবিষ্যতে এই অঙ্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এর আগে দেশে গরীবদের জন্যে এত সুবিধা দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকার গরীবদের জন্যে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেন নমো। তিনি চান, গরীবদের পর্যায় ক্রমিক ভাবে স্ব-নির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী করার সঙ্গে সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 2 =