করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ৫০ কোটি টাকা মজুত রয়েছে কেন্দ্রে হাতে!

নয়াদিল্লি: করোনা টিকা তৈরি হলে তা বিতরণের জন্য তৈরি দেশ? সম্প্রতি এমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশে টিকা দেওয়ার জন্য প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ কোটি টাকা প্রস্তুত রয়েছে। মোদী সরকার ১.৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশের প্রতি ব্যক্তি হিসাবে প্রায় ৬ থেকে ৭ ডলার (৪৪০ থেকে ৫১৫ টাকা) ব্যয় এর জন্য নির্ধারণ করে রেখেছে।

1aee81270826afebef211dbe0c970f0c

নয়াদিল্লি: করোনা টিকা তৈরি হলে তা বিতরণের জন্য তৈরি দেশ? সম্প্রতি এমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশে টিকা দেওয়ার জন্য প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ কোটি টাকা প্রস্তুত রয়েছে। মোদী সরকার ১.৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশের প্রতি ব্যক্তি হিসাবে প্রায় ৬ থেকে ৭ ডলার (৪৪০ থেকে ৫১৫ টাকা) ব্যয় এর জন্য নির্ধারণ করে রেখেছে।

এ পর্যন্ত যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত। এক্ষেত্রে তহবিলের অভাব হবে না বলেও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া প্রাইভেটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা বলেছেন যে হিমালয় থেকে প্রত্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সর্বত্র বসবাসকারী মানুষ করোনার টিকা পাবেন। সেখাভেই বহুল পরিমাণে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হবে। এর জন্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন টাকার প্রয়োজন হবে। চিকিৎসা ছাড়াও উৎপাদন, পরিবহন সহ সমস্ত দিক বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি। চণ্ডীগড়ের স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের সহযোগী অধ্যাপক মহেশ দেবনানি বলেছেন, “ভারতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা একটি বিশাল কাজ। আমাদের এক্ষত্রে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা দরকার। সবাই প্রথমে এটা করতে পারে না।”

অনুমান, বিশ্বের জনসংখ্যা রক্ষার জন্য একক-ডোজ রেজিমেন্টগুলি চালনা করতে প্রায় ৮ হাজার কার্গো প্লেনে জায়গার প্রয়োজন হবে। বায়োকন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদার শ গত সপ্তাহে ব্লুমবার্গ ইন্ডিয়া ইকোনমিক ফোরামকে বলেছেন, ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অল্প সময়ের মধ্যে দেশে ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য কোল-চেইন তৈরি করা। তিনি আরও বলেন, “আমি আশাবাদী যে আমরা নভেম্বরের মধ্যে আমরা বলতে পারব যে আমাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে।” ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি ভ্যাকসিন বিতরণ করতে সহায়তা করার জন্যও বলেন তিনি। 

যদিও সরকার-সমর্থিত একটি প্যানেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে ভারত সংক্রমণের শীর্ষে চলে যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছতে পারে। করোনার কারণে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রচুর আঘাত পেয়েছে এবং মোদী অর্থনীতি পুনরায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এই সপ্তাহের শেষে ভারতীয়রা বেশ উৎসব উদযাপন করবে। যার ফলে প্রতিদিনের নিরিখে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার তীব্র আশঙ্কা রয়েছে। মোদী মঙ্গলবার বলেছেন যে তাঁর সরকার নিশ্চিত করছে কোনও এক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রস্তুত হলেই দেশবাসীকে তা দেওয়া শুরু করে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *