নয়াদিল্লি: জমানাটা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার৷ জনপ্রিয় তথা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া এক সেতু বন্ধন৷ এই মডিয়ার দৌলতে প্রভাবশালীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছে তাঁদের ভক্তকূল৷ ট্যুইটারে মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সদা তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ট্যুইটারে তাঁর মতো প্রভাব রয়েছে খুব কম ব্যক্তিত্বেরই৷ সেই নমোই ছাড়তে পারেন সোশ্যাল মিডিয়ার সবরকম প্ল্যাটফর্ম৷ প্রধানমন্ত্রীর এহেন ট্যুইটে মন ভাঙল তাঁর অনুরাগীদের৷
নমোর সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার খবর এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল৷ অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি৷ নমোর সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার খবর তাঁর ভক্তদের কাছে বড় ধাক্কা৷ হতচকিত সকল ইউজার৷ ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া৷ দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসনে জয়ী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ সেই নমোই যখন বেলন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে পারি’, তখন উত্তাল হয়ে ওঠে ইন্টারনেট দুনিয়া৷ ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে যায় # নো স্যার৷ আরেকবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানাতে শুরু করেন তাঁর অনুরাগীরা৷
নমোর নীরবতায় ফের ঝড় ওঠে৷ মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে # নো মোদী নো ট্যুইটার এবং # আই উইল অলসো কুইট ট্যুইটার৷ প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলে তাঁরা ট্যুইটার বন্ধ করে দেবেন বলেও জানিয়ে দেন নমোর ভক্তরা৷ মোদীর ফলোয়াররা জানান, নরেন্দ্র মোদীর জন্যই ট্যুইটারে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা৷ নমোই তাঁদের কাছে অনুপ্রেরণা৷ তাই তিনি না থাকলে, তাঁরাও বন্ধ করে দেবেন ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট৷ সেইসঙ্গে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট না ছাড়ার আবেদনও জানান তাঁরা৷ তবে, সেই জল্পনায় জল ঢেলে নিজের আগের অবস্থান বদল করেছেন খোদ মোদি৷ ফিরিছেন সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ মোদি নোটপাড়ায় ফিরলেও তাঁকে স্বাগত জানাতে আর দেখা যায়নি সেই ভক্তদের৷