নয়াদিল্লি: তেলেঙ্গানা, বিহার, মহারাষ্ট্র৷ যেখানেই আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল বা এআইএমআইএম নির্বাচনে লড়াই করেছে, সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ! হায়দ্রাবাদ থেকে টানা চারবারের সাংসদ হলেও শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অশান্তি লাগানোর অভিযোগ রয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে৷
২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি নিজে যে হলফনামা জমা করেছেন সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ওই রাজ্যেই তাঁর দল একের পর এক অশান্তিতে জড়িয়েছে৷ সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার বিরোধী একটা প্রচার চালিয়ে সেই রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এক্কাট্টা করতে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি যেভাবে ইউটিউব বা ফেসবুকের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য ছড়িয়ে দেন, তাতেও বহু রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়েছে বলে গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর৷
মহারাষ্ট্রে ২০১৬ সালে তাঁর সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যের জেরে সেখানে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি হয়৷ সরকারি সম্পত্তি ভাংচুরের ঘটনা মহারাষ্ট্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ৷ সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর জন্য নয়, এমনকি ২০১৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় একাধিক মামলা৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদেশ থেকে বিভিন্ন এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে পেট্রোডলারের মাধ্যমে টাকা তার দলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার পরে ওই সমস্ত অশান্তির জন্য খরচ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে৷
২০১৬ সালে লোকসভায় বিদেশ থেকে এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে পেট্রোডলার নিয়ন্ত্রণ করতে বিল পাস হওয়ার পরে তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি তুলেছিলেন তিনি৷ এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কৃষাণ রেড্ডি নাম না করে বলেন, দেশের সমস্ত সন্ত্রাসবাদি হামলার পেছনে থাকা অপরাধের অন্যতম শিকড় খুঁজে পাওয়া যায় হায়দ্রাবাদ থেকে৷ কারণ হায়দ্রাবাদে এমন গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদি রাজধানী৷ এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷