বহুতলের দেওয়ালে আটকে নিখোঁজ পরিচারিকার দেহ, উদ্ধারে এনডিআরএফ

আজ বিকেল: দুটি আবাসনের মধ্যবর্তী সংকীর্ণ ফাঁকে আটকেছিল দেহ। দিনের পর দিন পচা গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন আবাসনের বাসিন্দারা। শেষে খুঁজে পেতে দেখা যায় পাশাপাশি গা ঘেঁষা দু’টি বাড়ির দেওয়ালের মাঝে বিপজ্জনক ভাবে আটকে রয়েছে একটি দেহ, সম্ভবত মৃত। পুলিশ এসেও দেহ উদ্ধার করতে না পারায় শেষপর্যন্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দপ্তরে খবর যায়। পরে

50b4ea599dc83977b49da7d995d69771

বহুতলের দেওয়ালে আটকে নিখোঁজ পরিচারিকার দেহ, উদ্ধারে এনডিআরএফ

আজ বিকেল:  দুটি আবাসনের মধ্যবর্তী সংকীর্ণ ফাঁকে আটকেছিল দেহ। দিনের পর দিন পচা গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন আবাসনের বাসিন্দারা। শেষে খুঁজে পেতে দেখা যায় পাশাপাশি গা ঘেঁষা দু’টি বাড়ির দেওয়ালের মাঝে বিপজ্জনক ভাবে আটকে রয়েছে একটি দেহ, সম্ভবত মৃত। পুলিশ এসেও দেহ উদ্ধার করতে না পারায় শেষপর্যন্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দপ্তরে খবর যায়। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লোকজনই দেহ উদ্ধার করে। মৃত মহিলার নাম সোনামণি, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার সিলিকন সিটির আম্রপালি আবাসনে।

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোনামণি ওই দুই আবাসনের বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি বিহারে। দিন কয়েক ধরে সোনামণি কাজে আসছিলেন না। এজন্য দারুণ হয়রানিতে পড়ে যান আবাসনের বাসিন্দারা। পরিচারিকার বাড়িতেও কোঁজ খবর নেওয়া হয়, তবে বাড়ির সদস্যরাও সোনামণি কোথ গিয়েছেন তা বলতে পারেননি। এর দুদিনের মধ্যেই পচ গন্ধে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন আম্রপালি আবাসনের বাসিন্দারা। গন্ধের উতস খুঁজেও বের করতে পারেননি, তখন বাধ্য হয়েই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এমনিতে আম্রপালিতে অনেকগুলি আবাসন রয়েছে। তারমধ্যে দুটি বহুতল একেবারে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে অবস্থান করছে। সেই অপ্রশস্ত গলি থুড়ি দুই দেওয়ালের মধ্যবর্তী ফাঁক, সেখান থেকেই আসছে গন্ধ। বাসিন্দারা নিশ্চত হওয়ার পর ফের পুলিশে খবর যায়, কিন্তু পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে পারেনিষ পরে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা আসে দেহটি উদ্ধার করে। তবে পরিচারিকার দেহ উদ্ধার হবে ভাবেননি নয়ডার সেক্টর ৭৬-এর আম্রপালি সিলিকন সিটির বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সেক্টর ৪৯-এর এসএইচও অজয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, আম্রপালি সিলিকন সিটিতে অনেকগুলি বহুতল রয়েছে। বেশিরভাগই একেবারে গা ঘেঁষা। তার মধ্যেই দু’টি বাড়ির দেওয়ালের ফাঁকে ঝুলে ছিল সোনামনির দেহ। কী ভাবে তিনি ওখানে পৌঁছলেন সেটা জানা যায়নি। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কোনও ভাবে দেওয়ালের ফাঁটে আটকে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। আবার খুনের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আবাসনের বাসিন্দাদের জেরা করে খুনের মূলে পৌঁছাতে চাইছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *