‘বয়েজ লকার রুম’ নিয়ে সরব মীরা, ধর্ষণ রুখতে মৃত্যুদণ্ড নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

‘বয়েজ লকার রুম’ নিয়ে সরব মীরা, ধর্ষণ রুখতে মৃত্যুদণ্ড নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

মুম্বই: ‘বয়েজ লকার রুম’ নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ৷ এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ঘিরে উঠেছে ছি ছি রব৷ গ্রুপ চ্যাটে মেয়েদের অশ্লীল ছবি দিয়ে গণধর্ষণের ইচ্ছে প্রকাশের মতো ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ৷ 

‘বয়েজ লকার রুম’ এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বলিউড তারকারা৷ এই নিয়ে মুখ খুললেন শাহিদ কাপুরের স্ত্রী মীরা রাজপুত৷ এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক রেগা ঝা’র একটি লেখাও শেয়ার করেন তিনি৷ তিন বছর আগে এই লেখাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ঝা৷ 

রেগা ঝায়ের লেখা যে অংশটি মীরা পোস্ট করেছেন, সেখানে বলা হয়েছে, আমাদের দেশের প্রতিটি অভিভাবকের উচিত তাদের ছেলেদের ছোট থেকেই সঠিক শিক্ষা দেওয়া৷ যাতে কোনও মেয়ের সম্পর্কে তাঁরা খারাপ চিন্তাভাবনা আনতে না পারে৷ জোর দিতে হবে ‘সম্মতি’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘লিঙ্গ’ ও ‘সমতা’র উপর৷ তাদের বোঝাতে হবে ‘কোনও মেয়ের শরীর, বা তাদের মনোযোগ বা সময়ের উপর’ তাদের অধিকার নেই৷ রেগা আরও বলেছিলেন, আমাদের সমাজে একটা মেয়েকে শেখানো হয় কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়৷ এর বদলে ছোট থেকেই ছেলেদের শেখানো উচিত তাদের কী করণীয়৷ এই ঘটনার সঙ্গে আরও একবার নক্কারজনক অধ্যায়ের সাক্ষী হল ভারত৷ যেখানে দেশের যুবসমাজের মধ্যে বিকশিত হচ্ছে এক ধর্ষণের সংস্কৃতি৷ কেবল নিরক্ষর বা সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণি নয়, শিক্ষিত, নাবালকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে এই নিকৃষ্ট মনোভাব৷  

দিল্লির এক হাইপ্রোফাইল স্কুলের কিছু ছাত্রের এই বিকৃত মানসিকা ও তাঁদের গ্রুপ চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া। দেশের তরুণ প্রজন্মের এমন মানসিকতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন মনস্তত্ববিদদের একাংশ। এরপরই ওই গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস দেয় দিল্লি মহিলা কমিশন। ইনস্টাগ্রামে স্কুলের ছাত্রদের ‘বয়েজ লকার রুম’-এ শুধুই অশ্লীল মেসেজের ছড়াছড়ি। অনুমতি ছাড়াই বান্ধবীদের ছবি পোস্ট করা, আর তা নিয়ে নানান অশ্লীল আলোচনা। এমনকী, ধর্ষণকে আইনসঙ্গত করে দেওয়ারও দাবিও উঠেছ ওই গ্রুপে৷ যাতে স্কুলের বান্ধবীদের ধর্ষণ করতে পারে তারা! এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই গ্রুপটিকে ব্লক করে দেওয়া হয়। 

মেয়েদের আপত্তিকর ছবি কি ‘শিশু যৌন নির্যাতনের’ সামিল নয়? এতো শিশু পর্নোগ্রাফিরই সমান৷ ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেদের মধ্যে এমন মানসিকতা দেশকে কোন দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ প্রশ্ন উঠেছে ধর্ষণকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কি সমাজ থেকে এই ব্যধি দূর করার জন্য উপযুক্ত? তার উপর এদেশে রয়েছে নানা আইনি জটিলতা৷ জুভেনাইল আইনের ফাঁকফোকড়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *