রায়পুর: বাবা মায়ের বকা থেকে বাঁচতে গণধর্ষণের গল্প ফাঁদল ছত্তিশগড়ের কাওয়ার্ধা জেলার একটি ১৪ বছরের আদিবাসী কিশোরী। তার ভয় ছিল দেরি করে বাড়ি ফেরার কারণে তার বাবা-মা তাকে বকাঝকা করতে পারে। তা থেকে বাঁচার জন্য সে গণধর্ষণের গল্প ফাঁদে।
রবিবার সন্ধ্যায় কিশোরী মেয়েটি তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার নামে বাড়ি থেকে বের হয়। গভীর রাতেও যখন সে বাড়ি ফিরল না, তখন তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয়। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তারা নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করতে স্থানীয় থানায় যাচ্ছিল। কিন্তু মেয়েটি অবশেষে বাড়ি ফেরে। এতক্ষণ কোথায় ছিল জিজ্ঞাসা করায় সে পরিবারের সদস্যদের জানায় যে সে একজন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ছিল। তখন চারজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে গণধর্ষণ করে। এরপর পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ এনিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। অজ্ঞাতপরিচয় সন্দেহভাজনদের সন্ধানের জন্য সাতটি দল গঠন করা হয়। কিন্তু দু-তিন দিনের কোনও অগ্রগতি হয় না।
এরপর পুলিশ মেয়েটি এবং তার পুরুষ বন্ধুকে ডেকে ঘটনার বিবরণ নেয়। তারা দুজনের বক্তব্যে কোনও মিল ছিল না। এরপর জেরায় ওই নাবালিকার পুরুষ বন্ধু সত্যি ঘটনা জানান। উভয়ই স্বীকার করে যে তারা একটি সম্পর্কে রয়েছে এবং দেখা করতে পিজি কলেজ মাঠে গিয়েছিল। তারা সময়ের হিসাব রাখতে পারেনি এবং মেয়েটির বাড়ি ফিরতে খুব দেরি হয়ে যায়। তখন ছেলেটি তাকে একটি গণধর্ষণের গল্প বানানোর পরামর্শ দেয়। সাংবাদ মাধ্যমের তরফে খবর, কাওর্ধার পুলিশ সুপার শালভ সিনহা এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, নাবালিক মেয়েটির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িত থাকার কারণে ছেলেটিকে যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো) আইনের বিধানের আওতায় আটক করা হয়েছে।