অমৃতসর: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি কেড়ে নিয়েছে দেশের আরো একজন কিংবদন্তিকে। মধ্যরাতে প্রয়াত হয়েছেন মিলখা সিং। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় ৩০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে লড়াই শেষ হল শুক্রবার গভীর রাতেই। মৃত্যুকালে কিংবদন্তি এই দৌড়বিদের বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তাঁর মৃত্যুতে একদিনের শোক পালন করা হবে বলে জানিয়ে দিল পঞ্জাব সরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে এই কিংবদন্তির।
মে মাসের শেষের দিকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে মোহালির হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে এবং ৩০ মে ছাড়া পান মিলখা। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম থেকেই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম হতে শুরু করে তাঁর। পরবর্তী ক্ষেত্রে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে, যদিও এবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। তবে কোভিড আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলেও শেষ পর্যন্ত আর কিছু করার ছিল না চিকিৎসকদের। দেশ হারাল তার কিংবদন্তি স্প্রিন্টারকে। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালের কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মিলখা। পরে ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এশিয়ান গেমসেও ৪টি সোনা আছে মিলখার। ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে।
১৯৫২ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন মিলখা সিং। শ্রীনগরে তাঁর চাকরি হয়। তখন থেকেই অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে পরিচয় ঘটে তাঁর। মিলখার দৌড় মুগ্ধ করেছিল সেনার আধিকারিকদের। পরবর্তী কালে, ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকের ২০০ মিটার ও ৪০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। দু’বছর পর কার্ডিফে কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সোনা জেতেন এই দৌড়বিদ। ৪৬.৬ সেকেন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যালকম স্পেন্সকে হারান মিলখা। ৫২ বছর পর্যন্ত এই নজির মিলখার একারই ছিল। ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী পান। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিক্সে ৪০০ মিটারের চতুর্থ হন। এরপর সেই সালেই আরও এক খ্যাতনামা দৌড়বিদ পাকিস্তানের আব্দুল খালিকের বিরুদ্ধে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য পাক জেনারেল আয়ুব খান তাঁকে ‘ফ্লাইং শিখ’ তকমা দেন। ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে ৪০০ মিটারে আবার সোনা জেতেন।