ভুখা শ্রমিকদের পিটিয়ে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শায়েস্তা করল গুজরাত পুলিশ

ভুখা শ্রমিকদের পিটিয়ে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শায়েস্তা করল গুজরাত পুলিশ

c5506c63cde7a9c2fa402bfafbe10063

সুরাট: ফের বিক্ষোভে উত্তাল গুজরাতের সুরাট। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার দাবি নিয়ে শনিবার রাস্তায় নেমেছিলেন কয়েক’শ পরিযায়ী শ্রমিক। বিক্ষোভে বাধা দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিক্ষোভ হটাতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। তাতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের মারে বেশ কয়েক জন আহতও হন।

গত কয়েকদিন ধরেই লকডাউনের কারণে গুজরাতের সুরাত সহ বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া শ্রমিকরা বাড়ি ফেরা নিয়ে অশান্তি হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত’আন্দোলন ঘোষণা করেছে অমিত শাহের রাজ্যের পুলিশ। কয়েক দিন আগেই পুলিশ বনাম শ্রমিক সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সুরাত। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার ফের উত্তাল হয়ে উঠল সুরাত। শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে যাওয়ার দাবি নিয়ে সুরাটের মোরা গ্রামে রাস্তায় নেমেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করার পরিবর্তে রণংদেহী মূর্তি ধারণ করে আসরে নেমে পড়ে পুলিশ। অসহায় শ্রমিকদের পিটিয়ে হাতের সুখ মেটানোয় নেমে পড়েন খাকি উর্দিধারীরা। নির্বিচারে লাঠিপেটা করা হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়।

এ দিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে গত এক মাসে একাধিক বার এই ধরনের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে সুরত-সহ গুজরাতের বিভিন্ন এলাকায়। তার মধ্যেই এ দিন পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভে তেতে উঠল সুরত। গয়না ও বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত সুরতে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের বাস, যার ৯০ শতাংশই ওড়িশা থেকে গিয়েছেন। লকডাউনে রোজগারপাতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্থও করেছিল ওড়িশা সরকার। যদিও ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে তা কার্যত ভেস্তে গিয়েছে।

সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ‘করোনা পরীক্ষা ছাড়া রাজ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তার পরেই বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের জন্য যে চালু করা তিনটি ট্রেন বাতিল করে নবীন পট্টনায়কের সরকার। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। লকডাউনের জেরে উপার্জন সম্পূর্ণ বন্ধ। তার উপরে প্রথম দিকে গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে ‘সাহায্য’ হিসেবে চাল-ডাল দেওয়া হলেও তা বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  ফলে  অনেককেই অর্ধাহার ও অনাহারে কাটাতে হচ্ছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *