শ্রীনগর: একে একে ছাড়া পেয়েছিলেন ফারুক আব্দুল্লাহ এবং ওমর আব্দুল্লাহ। এবার ১৪ মাস গৃহবন্দী থাকার পর অবশেষে মুক্তি মিলল কাশ্মীরের আরো একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভানেত্রী মেহবুবা মুফতির। গতকাল রাতেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর গতবছর জম্মু-কাশ্মীরের ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করে কেন্দ্র। অবশেষে তিনজনেই ছাড়া পেলেন।
এত সময় গৃহবন্দি থাকার পরেও মেহবুবা মুক্তির আত্মবিশ্বাস এতটুকু কমেনি। আজ বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফের লড়াইয়ের বার্তা দিলেন তিনি। একইসঙ্গে, ২০১৯ সালের ঐ দিনটিকে ‘কালা দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর টুইটারে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, জম্মু কাশ্মীরের লড়াই যেমন চলছিল তেমনই চলবে, যাদের কেন্দ্র আটকে রেখেছে তাদের মুক্তি দিতে হবে। এইভাবে রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দী করে কেন্দ্রীয় সরকার অগণতান্ত্রিক কাজ করছে বলে তোপ দাগেন তিনি।
ভিডিও বার্তায় মেহবুবা বলেন, ‘প্রায় এক বছর পর আমি আজ মুক্ত। কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিয়ে আমি এখনো দুঃখিত, ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। আমার মনে হয় জম্মু-কাশ্মীরের মানুষও একই কথা ভাবেন। ওই দিনটিকে কেউ ভুলতে পারবে না। লড়াই জারি থাকবে’। মেহবুবা মুফতি মুক্তির পরে মুখ খুলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, এইভাবে মেহবুবাকে আটকে রাখা গণতান্ত্রিক অধিকার বিরোধী। একই সঙ্গে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ বলেন, এইভাবে প্রায় ১৫ মাস মেহবুবা মুফতিকে বন্দি করে রাখা নজিরবিহীন ঘটনা।
প্রথমে একাধিকবার মেহবুবা মুক্তির গৃহবন্দির মেয়াদ বাড়ানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তাকে প্রথমে দুটি সরকারি বাসস্থানে ৮ মাস গৃহবন্দি রাখা হয়, তারপর তাঁর নিজের বাসভবনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মেহবুবাকে। শেষ পর্যন্ত সেখানেই গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন তিনি।