শিলং: করোনা পরিস্থিতিতে মদ বিক্রি নিয়ে জল্পনা এখনও অব্যাহত। এরই মধ্যে মেঘালয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউন শিথিল হওয়ায় মদ বিক্রিতে ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। যদিও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে মদের দোকান চালু রাখার কথাও বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
ক্রমেই বেড়ে চলেছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোনের তালিকা অনুযায়ী চলতি সপ্তাহেই শিথিল করা হয়েছিল লকডাউন। বহু জায়গায় খোলা হয়েছিল মদের দোকান। সরকারের তরফে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধিনিষেধ থাকলেও দোকানের সামনে যেভাবে ভিড় জমিয়েছিলেন ক্রেতারা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সক্রিয়তা চোখে পড়ে। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গোটা দেশ জুড়েই। যদিও করোনা পরিস্থিতির দিক থেকে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মেঘালয় অনেকটাই স্বস্তির জায়গায় রয়েছে। তাই তৃতীয় দফার লকডাউন শিথিল ঘোষণা হতেই সোমবার থেকে খোলা হয়েছিল মদের দোকান। ওই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টন টিনসং জানিয়েছেন, তৃতীয় দফার লকডাউনে মদ বিক্রি অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
গত সোমবার থেকেই চালু রয়েছে মদের দোকান। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে মদ বিক্রির খাতে। তবে দোকানপাট খোলায় বেশ কিছু শিথিলতা এলেও কেন্দ্রের সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মানার বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে সরকার। সূত্রের খবর, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সামাজিক দূরত্বের যে বিধি আরোপ করা হয়েছে, তা অমান্য করলেই বন্ধ করে দেওয়া হবে দোকান। এমনকী, মুখ্য সচিব এম এস রাও জানিয়েছেন, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে লকডাউন চলাকালীন খোলার অনুমতি দিয়েছিল মেঘালয় সরকার। ১৩ এপ্রিল চালুও ছিল মদ বিক্রি। তবে ওই দিনেই কোভিড ১৯ ভাইরাসে একজন আক্রান্তের হদিশ মিললে তড়িঘড়ি ফের মদ দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে।