নিষ্ফলা অযোধ্যা মামলার মধ্যস্থতা, অবশেষে সুপ্রিম পদক্ষেপ

নয়াদিল্লি: ভেস্তে গেল অযোধ্যা মামলার মধ্যস্থতার পর্ব৷ কোন প্রকার সমঝোতায় রাজি নয় কোনও পক্ষ৷ আর তার জেরেই সব পক্ষকে কাগজপত্র তৈরি নির্দেশ শীর্ষ আদালতের৷ অযোধ্যা মামলায় ১৫০দিনের মধ্যস্থতা ব্যর্থ হওয়ায় নয়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের৷ আজ দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অযোধ্যা নিয়ে মধ্যস্থতা সমাধান সূত্র না তৈরি হওয়ায় আগামী ৬ আগস্ট থেকে

নিষ্ফলা অযোধ্যা মামলার মধ্যস্থতা, অবশেষে সুপ্রিম পদক্ষেপ

নয়াদিল্লি: ভেস্তে গেল অযোধ্যা মামলার মধ্যস্থতার পর্ব৷ কোন প্রকার সমঝোতায় রাজি নয় কোনও পক্ষ৷ আর তার জেরেই সব পক্ষকে কাগজপত্র তৈরি নির্দেশ শীর্ষ আদালতের৷ অযোধ্যা মামলায় ১৫০দিনের মধ্যস্থতা ব্যর্থ হওয়ায় নয়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের৷

আজ দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অযোধ্যা নিয়ে মধ্যস্থতা সমাধান সূত্র না তৈরি হওয়ায় আগামী ৬ আগস্ট থেকে নিয়মিত অযোধ্যা মামলার শুনানি হবে৷ মামলা নিস্পত্তি ঘটাতে প্রতিদিন হবে মামলার শুনানি৷ এই মর্মে সমস্ত পক্ষকে নথিপত্র প্রস্তুত করার নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের৷

অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতাকারীদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ সদস্যের সংবিধান বেঞ্চ আগেই জানিয়ে দেন, ৩১ জুলাই কোর্ট নিযুক্ত মধ্যস্থতা কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর ২ আগস্ট ফের মামলা শুনবে৷  প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে এই বেঞ্চের এই নির্দেশের পরও কোনও সমাধান না তৈরি হওয়ায় এবার প্রতিদিন শুনানির নির্দেশ৷

গত ৯ মার্চ, অযোধ্যা বিবাদের মধ্যস্থতা করার জন্য তিনজনের কমিটি গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কমিটিতে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফ এম আই কালফুল্লাহ, শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ও প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু। তাঁরা বহুদিন ধরে চলে আসা এই বিবাদের একটা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আদালতের তরফে আশাপ্রকাশ করা হয়৷ কিন্তু, এই কমিটি নিয়ে তোলা হয় আপত্তি৷ ফলে, শুরুতেই বাধাপ্রাপ্ত হয় কমিটির রফাসূত্র৷

অযোধ্যা মামলা৷ সমস্যার সূত্রপাত ১৯৯২ সালে৷ একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, বাবরি মসজিদ আসলে রাম জন্মভূমি৷ রাজত্বকালে এই রাম জন্মভূমির উপর বাবরি মসজিদ বানিয়েছিলেন৷ ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙা নিয়ে দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ বাধে৷ ৯২-এর দাঙ্গার বলি হন অন্তত ২০০০ মানুষ৷ কোনক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শুরু হয় মামলা৷ ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করে, ২.৭৭ একর এই জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে৷ একটি ভাগ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, একটি ভাগ পাবে নির্মোহী আখাড়া ও তৃতীয় ভাগটি পাবে রাম লাল্লা৷ এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি মামলা করা হয়৷ সেই থেকেই মামলার গেরোয় থমকে বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দিরের ভাগ্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − four =