উত্তরাখণ্ড: ফের এক ভয়াবহ তুষারধসে সাক্ষী রইল উত্তরাখণ্ড। রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের জোশিমাঠ অঞ্চলের রেনি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে ওই অঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী কিছু গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, তুষারধসে ফলে ব্যাপক প্লাবন হয় ওই এলাকায়৷ প্লাবনে প্রায় ১৫০ জন নিখোঁজ৷ বহু বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা৷ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে প্রশাসনিক কর্তারা ছুটে গিয়েছেন৷ উদ্ধারকার্যও শুরু হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়৷
সূত্রের খবর, গতকাল রাতের দিকে উত্তরাখন্ড রাজ্যের চামলি জেলার তপোবন অঞ্চলে রেনি গ্রামের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে হঠাৎই ধূলিগঙ্গা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই খবর পেয়ে চামলি জেলার জেলাশাসক তৎক্ষণাৎ সেই অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। নদীর জলের প্লাবনে বহু মানুষের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত বলেন, “ইতিমধ্যে ধূলিগঙ্গা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷’’ এছাড়াও তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার দিকে নজর রেখে ওই স্থানে ভাগীরথী নদীর প্রবাহ সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে৷ এছাড়াও জলের প্রবাহ কমাতে অলকানন্দা, হৃষিকেশ এবং শ্রীনগর জলাধার খালি করা হয়েছে বলে জানান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত। ইন্দো-তিব্বতিয়ান বর্ডার পুলিশ তরফে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে, “ধূলিগঙ্গা নদীর প্রবল জলপ্রবাহে একটি ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রেনি গ্রামের কাছে। এই ঘটনায় বহু ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷”
এই ভয়াবহ ঘটনায় হৃষিকেশ গঙ্গা প্রজেক্ট-এর আওতায় দুটি নবনির্মিত জলাধারের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সঙ্গে এই দুটি জলাধারে কর্মরত বহু শ্রমিকের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনায় এখনো অব্দি কোনো হতাহতের খবর মেলেনি প্রশাসন সূত্রে। ২০১৩ সালে চারধাম যাত্রা চলাকলীন ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছিল কেদারনাথ৷ গোটা বিশ্ব দেখেছিল সেই বিভীষিকা৷ কাদার ধসে মৃত্যু হয়েছিল এক হাজার মানুষের৷ সেই ঘটনার স্মৃতিতে এবার দেখা দিল জোশিমাঠের ঘটনা৷ ইতিমধ্যেই জরুরি নম্বর 1070 or 9557444486 ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷