নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় অন্যতম অস্ত্র হল মাস্ক৷ কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাস্কের উপরেই জারি করা হল বিধি নিষেধ৷ পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই বলে জানল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস)৷ তবে ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুরা মাস্ক পরতে পারে বলে বলা হয়েছে৷ তবে তা বাবা-মায়ের পর্যবেক্ষণে৷
আরও পড়ুন- বিয়ের বিজ্ঞাপনে করোনা টিকা নেওয়া পাত্রের সন্ধান!
করোনাকালে ১৮ বছরের নীচে শিশুদের জন্য কী করণীয়, সে বিষয়ে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মাস্ক পরার দরকার নেই৷ ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মাস্ক পরানো যেতে পারে৷ তবে সেক্ষেত্রে শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে৷ এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের৷ কারণ দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরলে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে৷ এছাড়াও মুখ ও নাকের পাশে ঘাম বসে ব়্যাশ দেখা দিতে পারে৷ অপরিষ্কার হাত মাস্কে বারবার হাত দিলেও সমস্যা বাড়বে৷ তাই মাস্ক পরানোর আগে চিকিৎসকদের সঙ্গে ভালোভাবে পরমার্শ করে নিতে হবে যে শিশুদের কতক্ষণ মাস্ক পরানো যাবে বা কী ধরনের মাস্ক পরাতে হবে৷ পাশাপাশি ১৮ বছরের নীচে শিশুদের উপর রেমডিসিভির প্রয়োগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ৷ যেখানে বলা হচ্ছে আঘাত আসতে পারে শিশুদের উপর৷ তার আগে সতর্ক কেন্দ্র৷ ডিজিএইচএস-এর সংশোধিত নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, উপসর্গহীন ও অল্প উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের জ্বর ও সর্দি-কাশির জন্য যে সকল ওষুধ রয়েছে, সেগুলি ছাড়া আর অন্য কোনও ওষুধ যাতে দেওয়া না হয়৷ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া হাইড্রস্কিক্লোরোকুইন, ইভেনমেকটিন, ডক্সিডাইলিন, জিঙ্ক, মাল্টিভিটামিনের মতো সমস্ত ওষুধগুলি না ব্যবহার করাই ভালো৷ এসবের পাশাপাশি, মাস্ক পরা, হাত ধোঁয়া বা স্যানিটাইজ করা, দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ২৭ মে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়৷ এটি প্রকাশ্যে এনেছে এএনআই৷